সুদ ও রিবা পার্থক্য, সুদ vs রিবা পার্থক্য, সুদ ও রিবা তুলনামূলক আলোচনা, রিবা ও সুদ মধ্যে পার্থক্য, সুদ ও রিবা কাকে বলে,তুলনা করি: সুদ ও রিবা আলোচনা

সুদ ও রিবা পার্থক্য, সুদ vs রিবা পার্থক্য, সুদ ও রিবা তুলনামূলক আলোচনা, রিবা ও সুদ মধ্যে পার্থক্য, সুদ ও রিবা কাকে বলে,তুলনা করি: সুদ ও রিবা আলোচনা

শিক্ষা প্রশ্ন সমাধান

Google Adsense Ads

প্রশ্ন সমাধান: সুদ ও রিবা পার্থক্য, সুদ vs রিবা পার্থক্য, সুদ ও রিবা তুলনামূলক আলোচনা, রিবা ও সুদ মধ্যে পার্থক্য, সুদ ও রিবা কাকে বলে,তুলনা করি: সুদ ও রিবা আলোচনা

রিবাঃ

রিবার আভিধানিক অর্থ হলো- বৃদ্ধি, আধিক্য, পরিবর্ধন, বেশি, স্ফীত, বিকাশ ইত্যাদি।যা আবার উশুরি হিসেবেও পরিচিত, তা হল একটি আরবি শব্দ, যা ইসলামী পরিভাষায় সুদকে বোঝায়। ইসলামী শরীয়াহ মতে, লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনোরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে। তাফসিরবিদ ইবনে জারীর মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, জাহেলিয়াহ আমলে প্রচলিত ও কুরআনে নিষিদ্ধ ‘রিবা’ হল কাউকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ঋণ দিয়ে মূলধনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা। আরবেরা সে যুগে তা-ই করতো এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে সুদ বাড়িয়ে দেবার শর্তে মেয়াদ বাড়িয়ে দিত।


আরো ও সাজেশন:-

সুদঃ

সুদ ও মুনাফা এক নয়। সুদ হচ্ছে ঋণকৃত অর্থের উপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিশ্চিত সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাওনা । অর্থাৎ সুদের সাথে ‘নিশ্চিত’ এবং ‘সুনির্দিষ্ট’ শব্দ দুটির সম্পর্ক রয়েছে । যেমন আপনি কারো নিকট হতে ২০% সুদে ১,০০০ টাকা ঋণ নিলেন । এই ঋণকৃত টাকা আপনি ব্যবসায় খাটাতে পারেন , আবার শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন , আবার ভোগে ব্যয় করতে পারেন । এই ১,০০০ টাকা নিয়ে আপনি যাই করেন না কেন , বছর শেষে ঋণ প্রদানকারীকে ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে । এক্ষেত্রে ঋণ প্রদানকারী নিশ্চিত জানে যে , বছর শেষে আপনার নিকট হতে সে নির্দিষ্ট ২০০ টাকা পাবে । এখানে ২০০ টাকা হল সুদের পরিমাণ , যা ইসলামে নিষিদ্ধ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বর্তমানে কেউ কেউ সুদকে মুনাফা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য হলো– সুদের অর্থ যেমন অতিরিক্ত, বেশি, বৃদ্ধি তেমনি ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফাও তো অতিরিক্ত, বেশি বা বৃদ্ধি। কাজেই সুদ ও মুনাফা একই জিনিস। অথচ আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারা–২৭৫ নং আয়াতে বলেন– ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ ٱلرِّبَوٰا۟ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِى يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيْطَٰنُ مِنَ ٱلْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْبَيْعُ مِثْلُ ٱلرِّبَوٰا۟ ۗ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلْبَيْعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰا۟ ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

অর্থঃ যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এই অবস্থায় উপনিত হওয়ার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ ব্যবসাতো সুদেরই মতো। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদ খোরী থেকে সে বিরত হয় সেক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তা তো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

সুদ একটি মারাত্নক ক্ষতিকর বিষয়। যা ইতিপুর্বে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা সুদের বিপরীত বিষয়। নিম্নে সুদ ও মুনাফার পার্থক্য তুলে ধরা হলো-

সুদমুনাফা
১) সুদ হারাম১) মুনাফা হালাল
২) ঋণের বিপরীতে সময়ের সাথে যে কোন বৃদ্ধি সুদ২) ব্যবসা থেকে মুনাফা অর্জিত হয়
৩) সুদ নিশ্চিত ও নির্ধারিত৩) মুনাফা অনিশ্চিত ও অনির্ধারিত
৪) সুদ ব্যবসার ঝুঁকি বহন করে না৪) মুনাফা অর্জনে ঝুঁকি গ্রহন করতে হয়
৫) সময় ও ঋণের সাথে সম্পর্কিত৫) ক্রয় ও বিক্রয় এর সাথে সম্পর্কিত
৬) সুদ বার বার ধার্য করা হয়৬) মুনাফা একবারই ধার্য হয়
৭) উৎপাদনশীলতা কমে৭) উৎপাদনশীলতা বাড়ে
৮) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়৮) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় না
৯) মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে৯) মুদ্রাস্ফীতি কমে
১০) সুদ বেকারত্ব সৃষ্টি করে১০) মুনাফা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *