সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার (Agency) ধারণা, বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক সামাজিক সমস্যা প্রতিরােধে বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা তুলে ধরুন, hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম ২য় পত্র ১২শ শ্রেণি ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১, সমাজকর্ম ২য় পত্র ১২শ শ্রেণি ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমাধান/ উত্তর ২০২১

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: সমাজকর্ম ( ২য় পত্র ) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 2862
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার (Agency) ধারণা, বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক সামাজিক সমস্যা প্রতিরােধে বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা তুলে ধরুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হলো সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সামাজিক প্রতিষ্ঠান সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, সমস্যা সমাধান, মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে। সামাজিক প্রতিষ্ঠান মূলত সমাজদেহের কার্যনির্বাহী অঙ্গ। সামাজিক প্রতিষ্ঠান বলতে সাধারণত কোনো স্থায়ী কাঠামো বা সংগঠনকে বোঝায়। যেমনÑ পরিবার, রাষ্ট্র ইত্যাদি। আবার অন্য অর্থে, সামাজিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সমাজের প্রচলিত অনুষ্ঠান, রীতি বা কর্মপদ্ধতি। যেমনÑ বিবাহ, সরকার প্রভৃতি।

সামাজিক সংস্থা সমাজস্থ এমন একটি স্থান যেখান থেকে কোনো বিশেষ বিষয়ে সেবাদান করা হয়। সেবাদানের কেন্দ্রবিন্দু হলো সামাজিক সংস্থা। সাধারণত এজেন্সি শব্দটি কোনো বিষয়ের কার্যালয় বা অফিস হিসেবে গণ্য হয়।

কোনো কেন্দ্রীয় অফিসের অধীনে অন্য কোনো স্থান, অফিস বা কার্যালয় নিযুক্ত করাকে এজেন্সি বা সেবাদান স্থান বলা হয়। সামাজিক সংস্থা কেবলমাত্র সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের নিযুক্ত কেন্দ্র বা কার্যালয়কে বোঝায়।

সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য

সামাজিক প্রতিষ্ঠান নানাদিক দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। নিচে এর কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:

১. মানুষের বহুমুখী চাহিদা ও প্রয়োজন থেকে সৃষ্ট;

২. সমাজদেহের কার্যনির্বাহী অঙ্গ;

৩. সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই সমাজস্বীকৃত হতে হবে;

৪. সামাজিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম;

৫. সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পরস্পর নির্ভরশীল;

৬. সামাজিক স্থায়িত্বের রক্ষাকবচ;

৭. যৌথ জীবনযাত্রা পদ্ধতির সূতিকাগার;

৮. সামাজিক প্রতিষ্ঠান সমাজ পরিচালনার বাহন;

৯. সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কর্মভার হস্তান্তরিত হতে পারে;

১০. গতিশীল ও পরিবর্তনশীল; এবং

১১. সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল সমাজজীবনের জন্য অপরিহার্য।

সামাজিক প্রতিষ্ঠান কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বাহন। এর সদস্য হওয়া যায় না, অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান এ দুই অর্থেই ঝড়পরধষ ওহংঃরঃঁঃরড়হ প্রত্যয়টি ব্যবহৃত হয়। সামাজিক প্রতিষ্ঠান বা এর কর্মপদ্ধতি যদি খুব কঠোর হয়, তখন মানুষ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। সামাজিক প্রতিষ্ঠান সমাজের অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখে। সমাজবিজ্ঞানী গিডিংস এর ভাষায়, মানবজীবনের যা কিছু মহৎ ও কল্যাণকর তার সবই সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক যুগ হতে অন্য যুগে বর্তায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সামাজিক সংস্থার বৈশিষ্ট্য

সামাজিক সংস্থার কতকগুলো সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিম্নরূপ:

১. সামাজিক সংস্থা সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ের হতে পারে। তবে এর পরিচয় হলো সমাজসেবামূলক;

২. সামাজিক সংস্থা সমাজ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সাধারণত সমাজকল্যাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এর কর্মতৎপরতার অন্তর্ভুক্ত;

৩. সমাজে যে সমস্যা রয়েছে তা দূরীকরণের জন্য সামাজিক এজেন্সি ভূমিকা পালন করে;

৪. সমষ্টিকেন্দ্রিক সেবাদানের জন্য এজেন্সি ব্যবহৃত হয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট সমষ্টির সেবা প্রদানের বাহন হিসেবে এজেন্সিগুলো পরিচিত;

৫. সামাজিক সংস্থা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দিক। সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা উন্নয়ন এর কার্যক্রমের আওতাভুক্ত;

৬. সামাজিক সংস্থার অর্থসংস্থান হয় মানবহিতৈষী দান, অনুদান, সরকার প্রদত্ত অর্থ, সেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফি ও অন্যান্য উৎস থেকে;

৭. সামাজিক এজেন্সির পরিধি সীমিত এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে সেবা প্রদান করে থাকে;

৮. সামাজিক সংস্থা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্থায়ী ও সর্বজনীন নয়। এটি বিলুপ্ত হতে পারে কিংবা দর্শনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন করে শুরু হতে পারে; এবং

৯. সামাজিক সংস্থার টার্গেট গ্রুপ ঝুঁকিপ্রবণ জনগোষ্ঠী এবং সারাদেশ বা সমগ্রবিশ্ব হতে পারে।

সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা

সমাজের মৌলিক প্রতিষ্ঠান পরিবার গঠনের মূল ভিত্তি হলো বিবাহ। বিবাহ ও পরিবার একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত। বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা বহুমুখী। সন্তান লালনপালন থেকে শুরু করে সদস্যদের প্রয়োজন পূরণ এমনকি পারিবারিক জীবনে সুষ্ঠু নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠা বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকার পর্যায়ভুক্ত। যাতে সমাজবিরোধী কোনো ভূমিকায় পরিবারের সদস্যরা অবতীর্ণ না হয় সে বিষয়েও বিবাহ ও পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিবাহ ও পরিবারের এসব ভূমিকাকে সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা যায়। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা যেমনÑ যৌতুক, বাল্যবিবাহ, অপরাধ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন, জঙ্গিবাদ, অপুষ্টি, শিশু ও নারী নির্যাতন, মানসিক সমস্যা প্রভৃতি প্রথমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে তা পরিবার থেকে সমাজে সম্প্রসারিত হয়। ফলে সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা আলোচনা করা হলো:

১। যৌতুক : যৌতুকের কবলে আজ গোটা সমাজ নিমজ্জিত। অর্থনৈতিক দৈন্যতা, অশিক্ষা, অজ্ঞতা ও প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধের প্রশ্রয়ে সমাজে যৌতুকের ঘটনা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। যৌতুক সমস্যা প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ যৌতুকের লেনদেন হয় বিবাহকে কেন্দ্র করে। আর পরিবার সামাজিকীকরণ, নৈতিক শিক্ষাদান, সামাজিক মূল্যবোধ শিক্ষা, ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রতকরণ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি সুস্থ সামাজিক ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের অভ্যাস গড়ে তোলে। বিবাহ ও পরিবারের এসব ভূমিকার কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি হয় এবং যৌতুক নামক অবাঞ্ছিত কুপ্রথার মতো সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

২। বাল্যবিবাহ : বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের সামঞ্জস্যহীনতা, দাম্পত্যজীবন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব, অপরিপক্ক মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব প্রভৃতি স্বামী-স্ত্রীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যেসকল কারণে বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি, সেসব দূর করার ক্ষেত্রে বিবাহ ও পরিবার ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমনÑ সামাজিকীকরণ, নিরাপত্তাদান, নৈতিক শিক্ষাদান, মৌলিক প্রয়োজন পূরণ, অধিকার সংরক্ষণ ও চিত্তবিনোদনমূলক কার্যক্রম ইত্যাদি। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষাদান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সামাজিক আইন এবং বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। যেহেতু বাল্যবিবাহ পারিবারিক পরিমণ্ডলেই হয়ে থাকে তাই তা প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকাই অগ্রগণ্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৩। অপরাধ : বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যাগুলোর অন্যতম হলো অপরাধ। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পরিবেশ এবং মনোদৈহিক সমস্যাই অপরাধপ্রবণতার জন্য দায়ী। বিবাহ ও পরিবার অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। পরিবার মানুষের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ, সুস্থ বিকাশ, ব্যক্তিত্ব গঠন, নৈতিকতা, আদর্শ ও উপর্যুক্ত শিক্ষা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে শিক্ষা দেয়। তাছাড়া দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, শৃঙ্খলাবোধ, আইনের প্রতি আনুগত্যের গুণাবলি অর্জন, সমাজস্বীকৃত উপায়ে জৈবিক চাহিদা পূরণ ও নির্মল চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৪। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন: যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন একটি সামাজিক ব্যাধি। জাতীয় ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের অবক্ষয়, পরিবারিক বন্ধনে শৈথিল্য, সন্তানের প্রতি মা-বাবার উদাসীনতা, সুস্থ বিনোদন ও ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব, অশালীন পোশাক প্রভৃতি এর প্রধান কারণ। এ সমস্যা প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবার অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষের অন্যতম সহজাত প্রবৃত্তি ও মৌল চাহিদা হচ্ছে জৈবিক চাহিদা। বিবাহের মাধ্যমে সমাজস্বীকৃত উপায়ে এ চাহিদা পূরণের মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন অনেকটা প্রতিরোধ সম্ভব। পারিবারিক সুস্থ পরিবেশ, নৈতিকতা ও শালীনতার মূল্যবোধ সৃষ্টি, ছেলে সন্তানকে মেয়েদের সম্মান করার শিক্ষা, মেয়েদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, নির্মল আনন্দদায়ক খেলাধূলা ও সংস্কৃতিচর্চার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বিবাহ ও পরিবার যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করতে পারে।

৫। জঙ্গিবাদ : বর্তমানে জঙ্গিবাদ একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র ধর্মান্ধতা ও মুক্ত চিন্তা-চেতনার অভাব জঙ্গিবাদ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। বিবাহ ও পরিবার মানুষকে সুস্থ বিকাশ, ব্যক্তিত্ব গঠন, উদার আদর্শ, রীতিনীতি, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও সাংস্কৃতিক ধ্যানধারণা প্রদান করে সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে, যা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। পরিবার দায়িত্ব ও কর্তব্য, শৃঙ্খলাবোধ, শিষ্টাচার, দেশপ্রেম, আইনের প্রতি আনুগত্য ইত্যাদি গুণাবলি শিক্ষাদানের মাধ্যমে আদর্শ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। পরিবার বিজ্ঞানমনস্কতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং ধর্মীয় সর্বজনীন কল্যাণকর শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ও চাহিদা পূরণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার বিধানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।

৬। অপুষ্টি : পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব অপুষ্টি সমস্যার ব্যাপকতার জন্য বহুলাংশে দায়ী। পরিবার তার সদস্যদের মৌলিক মানবিক চাহিদাগুলো পূরণের মাধ্যমে অপুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ, শিক্ষার মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য সংক্রান্ত নানা ধরনের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার দূর, বাসস্থান, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন পূরণের মাধ্যমে পরিবার অপুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৭। শিশু ও নারী নির্যাতন : শিশু ও নারী নির্যাতন বলতে শিশু ও নারীর উপর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে কোনো নিপীড়ন ও নির্যাতনকে বোঝায়, যা তাদের অধিকার খর্ব বা হরণ করে। শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। শিক্ষাই হচ্ছে শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উত্তম উপায়। পরিবার মানবসন্তানের প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ, পারিবারিক সুসম্পর্ক তৈরি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, নৈতিক শিক্ষা, অধিকার সংরক্ষণ, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা প্রভৃতির মাধ্যমে পরিবার শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করতে পারে।

৮। মানসিক সমস্যা : বিবাহ ও পরিবারের মাধ্যমেই শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, সুস্থ ও অসুস্থ নির্বিশেষে সবাই মানসিক বিকাশ ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়। পরিবার মানসিক নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তির মনে হতাশা, ব্যর্থতা, হীনমন্যতা, আশঙ্কা প্রভৃতি দূর করে সুখানুভূতি ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধের সৃষ্টি করে। পরিবারের মধ্যেই স্নেহ-ভালোবাসার প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ বর্তমান থাকে, যে কোনো শিশুর মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি যথাযথভাবে বিকশিত হতে পারে। পরিবারের এ প্রীতিপূর্ণ পরিবেশে মানুষের বহুবিচিত্র কামনা-বাসনা ও মানসিক আশা-আকাঙ্খার পরিতৃপ্তি সাধিত হয়। মাতাপিতার স্বাস্থ্যকর দাম্পত্যজীবন, শিশুর প্রতি মাতাপিতার সঙ্গত ব্যবহার, সদস্যদের সহজাত স্বাভাবিক প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সাথে অভিযোজনের সক্ষমতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিবাহ ও পরিবার সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে বিবাহ ও পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক একক হিসেবে মানুষের সামাজিকীকরণ, নৈতিক শিক্ষা দান, সামাজিক আচার-আচরণ শেখানো, ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রতকরণ এবং সর্বোপরি সুস্থ সামাজিক ও ভারসাম্য জীবনের অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে বিবাহ ও পরিবার সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment