তােমার জানা একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু হতে ক্রমাগত আর্থিক লােকসানে পড়ে রুগ্ন শিল্পে রুূপান্তরিত হয়েছে, এর ব্যর্থতার কারণ উৎঘাটন কর ও ব্যবসায় সফলতার উপায়সুপারিশ কর।

তােমার জানা একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু হতে ক্রমাগত আর্থিক লােকসানে পড়ে রুগ্ন শিল্পে রুূপান্তরিত হয়েছে, এর ব্যর্থতার কারণ উৎঘাটন কর ও ব্যবসায় সফলতার উপায়সুপারিশ কর।

উত্তর:

আমার জানা একটি জুতার তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু হতে ক্রমাগত আর্থিক লােকসানে পড়ে রুগ্ন শিল্পে রুূপান্তরিত হয়েছে, এর ব্যর্থতার কারণ উৎঘাটন কর ও ব্যবসায় সফলতার উপায়সুপারিশ গুলো তুলে ধরলাম

ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণ সমূহ

সারা বিশ্বে যে সমস্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করা যায় তার সিংহভাগ হলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়। তবুও কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতাও লক্ষ্য করা যায়। এইরুপ ব্যর্থতার পিছনে যে সকল কারণ গুলো সক্রিয় হয়ে উঠে তা নিম্নে
আলোচনা করা হলোঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

১। সীমিত মূলধন : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের অন্যতম সমস্যা হলো সীমিত মূলধন।। এই প্রতিষ্ঠানের
যাবতীয় মূলধন মালিককে একাই সরবারহ করতে হয়। কিন্তু ব্যবসায়ের যাবতীয় কাজ সম্পাদনের জন্য যে পরিমান স্থায়ী ও চলতি মূলধনের প্রয়োজন পরে তা অনেক সময় মালিকের একার পক্ষে সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।

২। ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা : প্রায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের মালিক থাকে একজন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে
ব্যবসায় পরিচালনায় মালিকের নানান সীমাবদ্ধতা যেমন- ঝুঁকি গ্রহনের সীমাবদ্ধতা, মূলধন সরবরাহের সীমাবদ্ধতা, কার্যতদারকীর সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে এই ব্যবসায়ের সফলতা বাধাগ্রস্থ হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৩। ঋণ গ্রহনের সমস্যা : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ঋণ গ্রহণে বেশ অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। এ
ব্যবস্থায় মালিক নিজ উদ্যোগে ঋণ করে থাকে কিন্তু কৃত্তিম ব্যক্তিসত্তা না থাকায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এদের ঋণ প্রদানে আগ্রহ দেখায় না। ফলে ব্যবসায়ে সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।

৪। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রায় অদক্ষ ব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা
যায় মালিক নিজেই এই ব্যবসায়ে ব্যবস্থাপনার যাবতয়ী কাজ সম্পন্ন করে। ফলে অনেক সময় তার অদক্ষ ও দুরদর্শীতার অভাবে প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৫। সীমিত আয়তন : সীমিত আয়তন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের আরেকটি অন্যতম অসুবিধা। মালিকের ব্যক্তিগত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, স্বল্প মূলধন, অদক্ষ ব্যবস্থপনা ইত্যাদির কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্বেও এর আয়তন বাড়ানো সম্ভব হয় না। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের প্রায়ই ক্ষণস্থায়ী হয়ে পরে।

৬। সম্প্রসারণেই সীমাবদ্ধতা : মাঝারী, বড় যে কোন ব্যবসায় সব সময়
সম্প্রসারনের চেষ্টা করে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের মূলধন কম থাকার কারণে, জনবল সীমিত হওয়ার কারনে এবং বাজার স্থানীয় পর্যাযে হওয়ার কারণে এরুপ সম্প্রসারনে সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করা যায়।

৭। সীমাহীন দায় :ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের অন্যতম একটি সমস্যা হলো সীমাহীন দায়। ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ের মালিকের দায়-দায়িত্ব অসীম, এজন্য অসীম দায়ের কারণে সৃষ্ট সমস্যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৮। সঠিক পরিকল্পনার অভাব: ক্ষুদ্র ব্যবাসায় যাবতীয় পরিকল্পনা মালিক নিজেই গ্রহন
করে থাকে। তাই অনেক সময় মালিকের জ্ঞান-বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনার অভাব দেখা দেয়।

৯। প্রশিক্ষণের অভাব : প্রশিক্ষণের যে কোন সফলতার চাবিকাঠী। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের
ক্ষেত্রে মালিক বা নিয়োজিত কর্মচারীদের মধ্যে একেবারেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় না। ফলে তীব্র প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে।

১০। অভিজ্ঞতার অভাব : যে কোন ব্যবসায়ে সফলতার পিছনে অভিজ্ঞতা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। কিন্তু এরুপ ব্যবসায়ে উদ্দোক্তাগন যখন নিজেদের নিয়োজিত করে তখন তাদের একেবারেই কোন অভিজ্ঞতা থাকে না। ফলে প্রতি বছর আমাদের দেশে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলতে হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

১১। কাঁচামালের অভাব : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের অন্যতম একটি অসুবিধা হলো কাঁচামালের
অভাব। স্থানীয় কাঁচামালে স্বল্পতা দেখাদিলে এ ব্যবসায়ের উৎপাদন ব্যহত হয়।

১২। সঠিক নিয়ন্ত্রনের অভাব : একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য সঠিক নিয়ন্ত্রন হলো একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পরিকল্পনার মত ক্ষুদ্র ব্যবসায় সঠিক নিয়ন্ত্রনের অভাব পরিলক্ষিত হয়। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

১৩। অপ্রত্যাশিত বিলোপসাধন : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের অন্যতম একটি অসুবিধা হলো
মলিকের মৃত্যু, অত্যাধিক ক্ষতি, ব্যবসায়ের পরিবর্তন ইত্যাদির কারনে এই ব্যবসায়ের অপ্রত্যাশিত বিলোপসাধন ঘটে থাকে। এটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের একটি অন্যতম অসুবিধা।
পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বৃহাদয়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে এ সকল সমস্যা অবশ্যই দুর করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

ব্যবসায়ের সফলতার কারণ সমূহ

বিশ্বের প্রাচীনতম ব্যবসায় হওয়া সত্বেও ক্ষুদ্র ব্যবসায় আজ পর্যন্ত বৃহদায়তন ব্যবাসায়ের পাশাপাশি টিকে আছে। এইরুপ টিকে থাকার পিছনে যে সমস্ত কারণ সুবিধা রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো ঃ

১। সহজ গঠন প্রনালী : ক্ষুদ্র ব্যবসায় গঠন করা অত্যন্ত সহজ। এই ব্যবসায় গঠনে ও
পরিচালনায় তেমন কোন আইনগত বাধ্য-বাধকতা পালনের প্রয়োজন হয় না। যে কেউ ইচ্ছে করলে সামান্য মূলধন নিয়ে এ ধরনের ব্যবসায় শুরু করতে পারে।

২। সহজ পরিচালনা: এটি ছোট আকৃতির ও সীমিত ঝুঁকির কারণে পরিচালনা করাও বেশ
সহজ হয়। যে কারণে ক্ষুদ্র জ্ঞান সম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তি এরুপ প্রতিষ্ঠান গঠনে উদ্ধুদ্ধ হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৩। অধিক কর্মসংস্থান: কম বিত্তবান লোকেরা তাদের অল্প পুঁজি ও যোগ্যতা নিয়ে
যে কোন স্থানে সহজে এরুপ ব্যবসায় গঠন করতে পারে। ফলে গ্রামে-গঞ্জে শহরে-বন্দরে ব্যাপকভাবে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে যা সার্বিকভাবে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৪। ব্যয় সংকোচন : এই ব্যবসায় মালিক নিজেই পরিচালনা করে, বিধায় সে সকল কাজে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করে। ফলে অনেকাংশে ব্যয় সংকোচন হয়।

৫। গোপনীয়তা রক্ষা : মাঝে মধ্যে ব্যবসায়ের উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানিক নীতি, কৌশল ইত্যাদি সম্পর্কে গোপনীয়তি বজায় রাখতে হয়। এক্ষেত্রে মালিক নিজেই ব্যবসায় পরিচালনা করে বিধায় সতর্কতার সাথে ব্যবসায়ের গোপনীয়তা রক্ষা করাতে পারে।

৬। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ : এই ব্যবসায়ে মালিক সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যে কোন
সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কারও সাথে তাকে আলোচনা করতে হয় না বিধায় এ ধরনের ব্যবসায় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনের পরে পরবর্তিতে অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানো সম্ভব হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

৭। মালিকের স্বাধীনতা : এই ধরনের ব্যবসায় বিশেষ করে একমালিকানা ব্যবসায় কোন
অংশীদার না থাকায় মালিক নিজেই নিজের কর্তা হিসেবে কাজ করে। কারও কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হয় না বলে সে স্বাধীনভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবসায়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

৮। ব্যক্তিগত নৈপূন্য প্রদর্শনের সুযোগ: এই রকম ব্যবসায় মালিক নিজের রুচি, জ্ঞান, নৈপূন্য ও দক্ষতার সকল ব্যবহার করতে পারে, ফলে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ক্রেতা বা ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়ে।

৯। ব্যক্তিগত সম্পক: এই ব্যবসায়ের মালিক নিজেই পরিচালনায় নিয়োজিত থাকে বিধায়
ক্রেতা, পণ্য সরবারহকারী, কর্মচারী সকলের সাথে তার ভাল ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে মালিক সহজেই সবার চিন্তা বা আকাঙ্খা সম্পর্কে বুঝতে পারে, যা ব্যবসায়ের উন্নয়নে সহায়ক হয়।

১০। সহজ বিলোপ সাধন : ব্যবসায়ের বিলোপও অত্যন্ত সহজ। বিালোপ সাধনে এখানে
কোন আইনগত জটিলতা নেই। মালিক ইচ্ছে করলেই সহজে এ ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলতে বা বিক্রি করতে পারে। ফলে পরে পরবর্তিতে তার পক্ষে সুবিধাজনক যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন সহজ হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] 

Assignment

1 thought on “তােমার জানা একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু হতে ক্রমাগত আর্থিক লােকসানে পড়ে রুগ্ন শিল্পে রুূপান্তরিত হয়েছে, এর ব্যর্থতার কারণ উৎঘাটন কর ও ব্যবসায় সফলতার উপায়সুপারিশ কর।”

Leave a Comment