আজকের বিষয়: সূরা জুমার সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল জুমার আলমল ও ফজিলত, সূরা জুমার কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা জুমার নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৩৯ সূরা আল – জুমার
নামকরণ
৯ নং আয়াতের () আয়াতাংশ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে । এ সূরার মধ্যে যদিও জুম’আর নামাযের আহকাম বা বিধি -বিধানও বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু জুম’আ সামগ্রিকভাবে এর বিষয়বস্তুর শিরোনাম নয় । বরং অন্যান্য সূরার নামের মত এটিও এ সূরার প্রতিকী বা পরিচায়মূলক নাম ।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
প্রথম রুকূ’র আয়াতসমূহ ৭ হিজরীতে সম্ভবত খায়বার বিজয়ের সময় অথবা তার নিকটবর্তী সময়ে নাযিল হয়েছে । বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসায়ী, এবং ইবনে জারীর হযরত আবু হুরাইরা বর্ণিত একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছেন যে, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লামের খেদমতে বসে থাকা অবস্থায় এ আয়াতটি নাযিল হয় । হযরত আবু হুরাইরা সম্পর্কে এ বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে এবং খায়বার বিজয়ের পূর্বে ঈমান এনেছিলেন । ইবনে হিশামের বর্ণনা অনুসারে ৭ হিজরীর মুহাররাম মাসে আর ইবনে সা’দের বর্ণনা অনুসারে জমাদিউল উলা মাসে খায়বার বিজিত হয়েছিল । অতএব যুক্তির দাবী হলো, ইহুদীদের এই সর্বশেষ দুর্গটি বিজিত হওয়ার পর আল্লাহ তা’আলা তাদের সম্বোধন করে এ আয়াতগুলো নাযিল করে থাকবেন কিংবা খায়বারের পরিণাম দেখে উত্তর হিজাযের সমস্ত ইহুদী জনপদ যখন ইসলামী রাষ্ট্রের অনুগত হয়ে গিয়েছিল তখন হয়তো এ আয়াতগুলো নাযিল হয়েছিল ।
দ্বিতীয় রুকূ’র আয়াতগুলো হিজরাতের পরে অল্পদিনের মধ্যে নাযিল হয়েছিল । কেননা নবী(সা) মদীনা পৌছার পর পঞ্চাম দিনেই জুম’আর নামায কায়েম করেছিলেন । এই রুকূ’র শেষ আয়াতটিতে যে ঘটনার প্রতি ইংগিত দেয়া হয়েছে তা স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছে যে, আয়াতটি জুম’আর নামায আদায় করার ব্যবস্থা হওয়ার পর এমন এক সময়ে নাযিল হয়ে থাকবে যখন মানুষ দীনী উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠীত সমাবেশের আদব-কায়দা ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তখনও পুরো প্রশিক্ষণ লাভ করেনি ।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
ওপরে আমরা একথা বলেছি যে, এ সূরার দুটি রুকূ’ দুটি ভিন্ন সময়ে নাযিল হয়েছে । অতএব এর বিষয়বস্তু যেমন আলাদা তেমনি যাদের সম্বোধন করে নাযিল করা হয়েছে সে লোকজনও আলাদা । তবে এ দুটি রুকূর আয়াতসমূহের মধ্যে এক প্রকার সাদৃশ্য আছে এবং এ জন্য তা একই সূরাতে সন্নিবেশিত হয়েছে । সাদৃশ্য কি তা বুঝার আগে রুকূ’ দুটির বিষয়বস্তু আলাদাভাবে আমাদের বুঝে নেয়া উচিত ।
ইসলামী আন্দোলনের পথ রোধ করার জন্য বিগত ছয় বছরে ইহুদীরা যেসব প্রচেষ্টা চালিয়েছে তা ব্যর্থতায় পর্যবসতি হয়েছে এমনি এক সময় প্রথম রুকূ’র আয়াতগুলো নাযিল হয়েছিল । প্রথমত মদীনায় তাদের তিন তিনটি শক্তিশালী গোত্র রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছিল । তারা এর ফল দেখতে পেল এই যে, একটি গোত্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেল এবং অপর দুটি গোত্রকে দেশান্তরিত হতে হলো । অতপর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা আরবের বহুসংখ্যক গোত্রকে মদীনার ওপর আক্রমণের জন্য নিয়ে আসল কিন্তু আহযাব যুদ্ধে তারা সবাই চপেটাঘাত খেল । এরপর তাদের সবচেয়ে বড় দুর্গ বা আখড়া রয়ে গিয়েছিল খায়বারে । মদীনা ত্যাগকারী ইহুদীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যাও সেখানে সমবেত হয়েছিল । এসব আয়াত নাযিল হওয়ার সময় সেটিও অস্বাভাবিক রকমের কোন সংঘর্ষ ছাড়াই বিজিত হয় এবং মুসমানদের ভূমি কর্ষণকারী হিসেবে থাকতে খোদ ইহুদীরাই আবেদন জানায় । সর্বশেষ এই পরাজয়ের পর আরবে ইহুদীদের শক্তি সম্পুর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যায় । ওয়াদিউল কুরা, ফাদাক, তায়ামা, তাবুক সব একের পর এক আত্মসমর্পণ করতে থাকে । ইসলামের অস্তিত্ব বরদাশত করা তো দূরের কথা তার নাম শুনতেও যারা পছন্দ করত না, আরবের সেইসব ইহুদীই শেষ পর্যন্ত সেই ইসলামের প্রজায় পরিণত হয় । এই পরিবেশ পরিস্থিতিতে আল্লাহ তা’আলা এই সূরার মধ্যে আরো একবার তাদেরকে সম্বোধন করলেন । তাদের উদ্দেশ্যে কুরআন মজীদে উল্লেখিত এটাই সম্ভবত সর্বশেষ বক্তব্য । এতে তাদের উদ্দেশ্য করে তিনটি কথা বলা হয়েছেঃ
একঃ তোমরা এ রসূলকে মানতে অস্বীকার করছো এই কারণে যে, তিনি এমন এক কওমের মধ্যে প্রেরিত হয়েছেন যাদেরকে অবজ্ঞা ভরে তোমরা ‘উম্মী’ বলে থাক । তোমাদের ভ্রান্ত ধারণা এই যে, রসূলকে অবশ্যই তোমাদের নিজেদের কওমের মধ্যে থেকে হতে হবে । তোমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে ছিলে যে, তোমাদের কওমের বাইরে যে ব্যক্তিই রিসালাতের দাবী করবে সে অবশ্যই মিথ্যাবাদী । কারণ এই পদমর্যাদা তোমাদের বংশের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং ‘উম্মী’ দের মধ্যে কখনো কোন রসূল আসতে পারেন না । কিন্তু আল্লাহ তা’আলা সেই উম্মীদের মধ্যেই একজন রসূল সৃষ্টি করেছেন । তোমাদের চোখের সামনেই যিনি তাঁর কিতাব শুনাচ্ছেন, মানুষকে পরিশুদ্ধ করেছেন এবং সেই মানুষকে হিদায়াত দান করেছেন তোমরা নিজেরাও যাদের গোমরাহীর অবস্থা জান । এটা আল্লাহর করুণা ও মেহেরবানী , তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন । তাঁর করুণা ও মেহেরবানীর ওপর তোমাদের কোন ইজারাদারী নেই যে, তোমারা যাকে তা দেয়াতে চাও তাকেই তিনি দিবেন আর তোমরা যাকে বঞ্চিত করতে চাও, তাকে তিনি বঞ্চিত করবেন ।
দুইঃ তোমাদের তাওরাতের বাহক বানানো হয়েছিল । কিন্তু তোমরা এর গুরুদায়িত্ব উপলদ্ধিও করোনি, পালনও করোনি । তোমাদের অবস্থা সেই গাধার মত যার পিঠে বই পুস্তকের বোঝা চাপানো আছে কিন্তু সে কি বহন করে নিয়ে যাচ্ছে তা জানে না । তোমাদের অবস্থা বরং ঐ গাধার চেয়েও নিকৃষ্ট । গাধার তো কোন প্রকার-বুদ্ধি -বিবেক নেই, কিন্তু তোমাদের বুদ্ধি-বিবেক আছে । তাছাড়া , তোমরা আল্লাহর কিতাবের বাহক হওয়ার গুরুদায়িত্ব শুধু এড়িয়েই চলছো না, জেনে বুঝে আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলা থেকেও বিরত থাকছো না । এসব সত্ত্বেও তোমাদের ধারণা এই যে, তোমরা আল্লাহর অতি প্রিয় এবং রিসালাতের নিয়ামত চিরদিনের জন্য তোমাদের নামে লিখে দেয়া হয়েছে । তোমরা যেন মনে করে নিয়েছ, তোমরা আল্লাহর বাণীর হক আদায় করো আর না করো কোন অবস্থায়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের ছাড়া আর কাউকে তাঁর বাণীর বাহক বানাবেন না ।
তিন সত্যিই যদি তোমরা আল্লাহর প্রিয়পাত্র হতে এবং এ বিশ্বাসও তোমাদের থাকতো যে , তাঁর কাছে তোমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার স্থান সংরক্ষিত আছে তাহলে মৃত্যুর এমন ভীতি তোমাদের মধ্যে থাকতো না যে, অপমান ও লাঞ্ছনার জীবন গ্রহণীয় কিন্তু কোন অবস্থায়ই মৃত্যু গ্রহণীয় নয় । আর মৃত্যুর এই ভয়ের কারণেই তো বিগত কয়েক বছরে তোমরা পরাজয়ের পর পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছো । তোমাদের এই অবস্থা -ই প্রমাণ করে যে, তোমাদের অপকর্মসমূহ সম্পর্কে তোমরা নিজেরাই অবহিত । তোমাদের বিবেক ভাল করেই জানে যে, এসব অপকর্ম নিয়ে যদি মারা যাও তাহলে পৃথিবীতে যতটা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হচ্ছো আল্লাহর কাছে তার চেয়ে অধিক লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে ।
এ হচ্ছে প্রথম রুকূ’র বিষয়বস্তু । দ্বিতীয় রুকূ’টি এর কয়েক বছর আগে নাযিল হয়েছিল । দ্বিতীয় রকূ’র আয়াতগুলো এ সূরার অন্তরভুক্ত করার কারণ হলো, আল্লাহ তা’আলা ইহুদীদের ‘সাবত’ বা শনিবারের পরিবর্তে মুসলমানদের ‘জুম’আ’ দান করেছেন । তাই তিনি মুসলমানদের সাবধান করে দিতে চান যে, ইহুদীরা, ‘সাবতে’র সাথে যে আচরণ করেছে তারা যেন জুম’আর সাথে সেই আচরণ না করে । একদিন ঠিক জুম’আর নামাযের সময় একটি বাণিজ্য কাফেলা আসলে তাদের ঢোল ও বাদ্যের শব্দ শুনে বারজন ছাড়া উপস্থিত সবাই মসজিদে নববী থেকে বেরিয়ে দৌড়িয়ে কাফেলার কাছে গিয়ে হাজির হয় । অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন খোতবা দিচ্ছিলেন । তাই নির্দেশ দেয়া হয় যে, জুম’আর আযান হওয়ার পর সব রকম কেনাবেচা এবং অন্য সব রকম ব্যস্ততা হারাম । ঈমানদারদের কাজ হলো , এ সময় সব কাজ বন্ধ রেখে আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হবে । তবে নামায শেষ হওয়ার পর নিজেদের কারবার চালানোর জন্য পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার অধিকার অবশ্যই তাদের আছে । জুম’আর হুকুম আহকাম সম্পর্কিত এ রুকূটিতে একটি স্বতন্ত্র সূরাও বানান যেত কিংবা অন্য কোন সূরার অন্তরভুক্ত ও করা যেতে পারত । কিন্তু তা না করে এখানে যেসব আয়াতে ইহুদীদেরকে তাদের মর্মান্তিক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে বিশেষভাবে সেই সব আয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে । আমাদের বিবেচনায় এর অন্তরনিহিত উদ্দেশ্য তাই যা আমরা ওপরে বর্ণনা করেছি ।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
সুরা নং- ০৩৯ : আল-জুমার
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
تَنْزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ39.1
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১। তান্যীলুল্ কিতা-বি মিনাল্লা-হিল্ ‘আযীযিল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১ এই কিতাব অবতীর্ণ আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ فَاعْبُدِ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ39.2
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২। ইন্না য় আন্যাল্না য় ইলাইকাল্ কিতা-বা বিল্হাকক্বি ফা’বুদিল্লা-হা মুখ্লিছোয়াল্ লাহুদ্ দীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২ নিশ্চয় আমি তোমার কাছে যথাযথভাবে এই কিতাব নাযিল করেছি; অতএব আল্লাহর ‘ইবাদাত কর তাঁরই আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।
أَلَا لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى إِنَّ اللَّهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ 39.3
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩। আলা-লিল্লা-হিদ্ দীনুল্ খ-লিছ্; অল্ লাযীনাত তাখাযূ মিন্ দূনিহী য় আওলিয়া-য়্। মা-না’বুদুহুম্ ইল্লা-লিইয়ুর্ক্বরিবূনা য় ইলাল্লা-হি যুল্ফা-; ইন্নাল্লা-হা ইয়াহ্কুমু বাইনাহুম্ ফী মা-হুম্ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন্; ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহ্দী মান্ হুওয়া কা-যিবুন্ কাফ্ফার্-।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩ জেনে রেখ, আল্লাহর জন্যই বিশুদ্ধ ইবাদাত-আনুগত্য। আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের ‘ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।’ যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না।
لَوْ أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَتَّخِذَ وَلَدًا لَاصْطَفَى مِمَّا يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ سُبْحَانَهُ هُوَ اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ39.4
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪। লাও আর-দাল্লা-হু আইঁ ইয়াত্তাখিযা অলাদাল্ লাছ্ত্বোয়াফা- মিম্মা-ইয়াখ্লুকু মা-ইয়াশা-য়ু সুব্হা-নাহ্; হুওয়া ল্লা-হুল্ ওয়া-হিদুল্ ক্বহ্হার্-।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪ আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করতে চাইতেন, তাহলে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতেন; কিন্তু তিনি পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, তিনি এক, প্রবল পরাক্রান্ত।
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ39.5
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫। খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বোয়া বিল্হাকক্বি ইয়ুক্বওয়্যিরুল্লাইলা ‘আলান নাহা-রি অইয়ুক্বওয়্যিরুন্ নাহা-র ‘আলাল্লাইলি অসাখ্খরশ্ শাম্সা অল্ ক্বর্মা; কুল্লুইঁ ইয়াজরী লিআজ্বালিম্ মুসাম্মা; আলা-হুওয়াল্ ‘আযীযুল্ গাফ্ফার্-।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫ তিনি যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাতকে দিনের উপর এবং দিনকে রাতের উপর জড়িয়ে দিয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন সূর্য ও চাঁদকে। প্রত্যেকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলছে। জেনে রাখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।
خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَأَنْزَلَ لَكُمْ مِنَ الْأَنْعَامِ ثَمَانِيَةَ أَزْوَاجٍ يَخْلُقُكُمْ فِي بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ خَلْقًا مِنْ بَعْدِ خَلْقٍ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُصْرَفُونَ39.6
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬। খলাক্বকুম্ মিন্ নাফ্সিঁও ওয়া-হিদাতিন্ ছুম্মা জ্বা‘আলা মিন্হা-যাওজ্বাহা-অ আন্যালা লাকুম্ মিনাল্ আন্‘আ-মি ছামা-নিয়াতা আয্ওয়া-জ; ইয়াখ্লুকুকুম্ ফী বুতুনি উম্মাহা-তিকুম্ খল্ক্বম্ মিম্ বা’দি খল্ক্বিন্ ফী জুলুমা-তিন্ ছালা-ছ্; যা-লিকুমু ল্লা-হু রব্বুকুম্ লাহুল্ মুল্ক্;লা য় ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া ফাআন্না-তুছ্রফূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬ তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নাফ্স থেকে, তারপর তা থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকে তোমাদের জন্য দিয়েছেন আট জোড়া ; তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন তোমাদের মাতৃগর্ভে: এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টি, ত্রিবিধ অন্ধকারে ; তিনিই আল্লাহ; তোমাদের রব; রাজত্ব তাঁরই; তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তারপরও তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?
إِنْ تَكْفُرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنْكُمْ وَلَا يَرْضَى لِعِبَادِهِ الْكُفْرَ وَإِنْ تَشْكُرُوا يَرْضَهُ لَكُمْ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ مَرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ39.7
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭। ইন্ তাক্ফুরূ ফাইন্না ল্লা-হা গনিয়্যুন্ ‘আনকুম্ অলা-ইর্য়াদ্বোয়া- লিই’বা-দিহিল্ কুফ্রা অ ইন্ তাশ্কুরূ ইর্য়াদ্বোয়াহু লাকুম্; অলা-তাযিরু ওয়া-যিরাতুঁও ওয়িয্রা উখ্রা-; ছুম্মা ইলা-রব্বিকুম্ র্মাজ্বি‘উকুম্ ফাইয়ুনাব্বিয়ুকুম্ বিমা-কুন্তুম্ তা’মালূন্; ইন্নাহূ ‘আলীমুম্ বিযা-তিস্ সুর্দূ।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭ তোমরা যদি কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী; আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না এবং তোমরা যদি শোকর কর তবে তোমাদের জন্য তিনি তা পছন্দ করেন; আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করে না। তারপর তোমাদের রবের দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন তোমরা যে আমল করতে তিনি তা তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তা তিনি সম্যক অবগত।
وَإِذَا مَسَّ الْإِنْسَانَ ضُرٌّ دَعَا رَبَّهُ مُنِيبًا إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَا خَوَّلَهُ نِعْمَةً مِنْهُ نَسِيَ مَا كَانَ يَدْعُو إِلَيْهِ مِنْ قَبْلُ وَجَعَلَ لِلَّهِ أَنْدَادًا لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِهِ قُلْ تَمَتَّعْ بِكُفْرِكَ قَلِيلًا إِنَّكَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ39.8
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৮। অইযা-মাস্সাল্ ইন্সা-না র্দ্বুরুন্ দা‘আ রব্বাহূ মুনীবান্ ইলাইহি ছুম্মা ইযা-খাওয়্যালাহূ নি’মাতাম্ মিন্হু নাসিয়া মা-কা-না ইয়াদ্‘ঊ য় ইলাইহি মিন্ ক্ব্ব্লু অজ্বা‘আলা লিল্লা-হি আন্দা-দাল্ লিইয়ুদ্বিল্লা ‘আন্ সাবীলিহ্; কুল্ তামাত্তা’ বিকুফ্রিকা ক্বলীলান্ ইন্নাকা মিন্ আছ্হা-বিন্ নার্-।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৮ আর যখন মানুষকে স্পর্শ করে দুঃখ-দুর্দশা, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার রবকে ডাকে, তারপর তিনি যখন তাকে নিজের পক্ষ থেকে নিআমত দান করেন তখন সে ভুলে যায় ইতঃপূর্বে কি কারণে তাঁর কাছে দোয়া করেছিল, আর আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করে, তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য। বল, ‘তোমার কুফরী উপভোগ কর ক্ষণকাল; নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।’
أَمْ مَنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُو الْأَلْبَابِ39.9
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৯। আম্মান্ হুওয়া ক্ব-নিতুন্ আ-না-য়াল্ লাইলি সা-জ্বিদাঁও অ ক্ব-য়িমাইঁ ইয়াহ্যারুল্ আ-খিরতা অ ইর্য়াজু রহ্মাতা রব্বিহ্; কুল্ হাল্ ইয়াস্তাওয়িল্ লাযীনা ইয়া’লামূনা অল্লাযীনা লা-ইয়া’লামূন্; ইন্নামা-ইয়াতাযাক্কারূ ঊলুল্ আল্বা-ব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৯ যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিদজাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।
قُلْ يَا عِبَادِي الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا رَبَّكُمْ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةٌ وَأَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةٌ إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ39.10
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১০। কুল্ ইয়া-‘ইবা-দিল্লাযীনা আ-মানুত্তাকু রব্বাকুম্; লিল্লাযীনা আহ্সানূ ফী হা-যিহিদ্ দুন্ইয়া-হাসানাহ্;অ র্আদুল্লা-হি ওয়া- সি‘আহ্;ইন্নামা ইয়ুওয়াফ্ফাছ্ ছোয়া-বিরূনা আজরহুম্ বিগইরি হিসা-ব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১০ বল, ‘হে আমার মুমিন বান্দারা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়ায় ভাল কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। আর আল্লাহর যমীন প্রশস্ত, কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই।’
قُلْ إِنِّي أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ 39.11
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১১। কুল্ ইন্নী য় উর্মিতু আন্ আ’বুদা ল্লা-হা মুখ্লিছোয়াল্ লাহুদ্ দীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১১ বল, ‘নিশ্চয় আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন আল্লাহর ইবাদাত করি তাঁর-ই জন্য আনুগত্যকে একনিষ্ঠ করে’।
وَأُمِرْتُ لِأَنْ أَكُونَ أَوَّلَ الْمُسْلِمِينَ39.12
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১২। অ উর্মিতু লিআন্ আকূনা আউয়্যালাল্ মুস্লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১২ ‘আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি প্রথম মুসলিম হই।’
قُلْ إِنِّي أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّي عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ39.13
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৩। কুল্ ইন্নী য় আখ-ফু ইন্ ‘আছোয়াইতু রব্বী ‘আযা-বা ইয়াওমিন্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৩ বল, ‘আমি যদি আমার রবের অবাধ্য হই তবে আমি এক মহাদিবসের আযাবের আশঙ্কা করি।’
قُلِ اللَّهَ أَعْبُدُ مُخْلِصًا لَهُ دِينِي39.14
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৪। কুলিল্লা-হা আ’বুদু মুখ্লিছোয়াল্ লাহূ দ্বীনী।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৪ বল, ‘আমি আল্লাহর-ই ইবাদাত করি, তাঁরই জন্য আমার আনুগত্য একনিষ্ঠ করে।’
فَاعْبُدُوا مَا شِئْتُمْ مِنْ دُونِهِ قُلْ إِنَّ الْخَاسِرِينَ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنْفُسَهُمْ وَأَهْلِيهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَلَا ذَلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ39.15
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৫। ফা’বুদূ মা-শিতুম্ মিন্ দূনিহ্; কুল্ ইন্নাল্ খ-সিরীনাল্ লাযীনা খসিরূ য় আন্ফুসাহুম্ অআহ্লীহিম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্; আলা-যা-লিকা হুওয়াল্ খুস্র-নুল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৫ ‘অতএব তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য যা কিছুর ইচ্ছা তোমরা ‘ইবাদাত কর’। বল, ‘নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত যারা কিয়ামত দিবসে নিজদেরকে ও তাদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিগ্রস্ত পাবে। জেনে রেখ, এটাই স্পষ্ট ক্ষতি’।
لَهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ ظُلَلٌ مِنَ النَّارِ وَمِنْ تَحْتِهِمْ ظُلَلٌ ذَلِكَ يُخَوِّفُ اللَّهُ بِهِ عِبَادَهُ يَا عِبَادِ فَاتَّقُونِ 39.16
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৬। লাহুম্ মিন্ ফাওক্বিহিম্ জুলালুম্ মিনান্না-রি অমিন্ তাহ্তিহিম্ জুলাল্; যা-লিকা ইয়ুখওয়্যিফুল্লা-হু বিহী ‘ইবা-দাহ্; ইয়া-‘ইবা-দি ফাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৬ তাদের জন্য তাদের উপরের দিকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদন আর তাদের নিচের দিকেও থাকবে (আগুনের) আচ্ছাদন; এদ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান। ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকেই ভয় কর’।
وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَنْ يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَى فَبَشِّرْ عِبَادِي39.17
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৭। অল্লাযীনা জতানাবূতত্বোয়া-গূতা আইঁ ইয়া’বুদূহা-অআনা-বূ য় ইলাল্লা-হি লাহুমুল্ বুশ্রা-ফাবার্শ্শি ‘ইবা-দ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৭ আর যারা তাগূতের উপাসনা পরিহার করে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয় তাদের জন্য আছে সুসংবাদ; অতএব আমার বান্দাদেরকে সুসংবাদ দাও।
الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ39.18
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৮। আল্লাযীনা ইয়াস্তামি‘ঊ নাল্ ক্বওলা ফাইয়াত্তাবি‘ঊনা আহ্সানাহ্; উলা-য়িকাল্ লাযীনা হাদা-হুমুল্লা-হু অ উলা- য়িকাহুম্ ঊলুল্ আল্বা-ব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৮ যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হিদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান।
أَفَمَنْ حَقَّ عَلَيْهِ كَلِمَةُ الْعَذَابِ أَفَأَنْتَ تُنْقِذُ مَنْ فِي النَّارِ39.19
আরবি উচ্চারণ ৩৯.১৯। আফামান্ হাকক্ব ‘আলাইহি কালিমাতুল্ ‘আযা-ব্; আফায়ান্তা তুন্ক্বিযু মান্ ফিন্নার্-।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.১৯ যার ব্যাপারে আযাবের হুকুম সাব্যস্ত হয়েছে, তুমি কি তাকে উদ্ধার করতে পারবে, যে আছে জাহান্নামে?
لَكِنِ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ غُرَفٌ مِنْ فَوْقِهَا غُرَفٌ مَبْنِيَّةٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَعْدَ اللَّهِ لَا يُخْلِفُ اللَّهُ الْمِيعَادَ 39.20
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২০। লা-কিনিল্ লাযীনাত্ তাক্বও রব্বাহুম্ লাহুম্ গুরাফুম্ মিন্ ফাওক্বিহা-গুরাফুম্ মাব্নিয়্যাতুন্ তাজরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হার্-; ওয়া’দাল্লা-হ্; লা-ইয়ুখ্লিফুল্লা-হুল্ মী‘আ-দ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২০ কিন্তু যারা নিজদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে কক্ষসমূহ যার উপর নির্মিত আছে আরো কক্ষ। তার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত। এটি আল্লাহর ওয়াদা; আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَسَلَكَهُ يَنَابِيعَ فِي الْأَرْضِ ثُمَّ يُخْرِجُ بِهِ زَرْعًا مُخْتَلِفًا أَلْوَانُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَجْعَلُهُ حُطَامًا إِنَّ فِي ذَلِكَ لَذِكْرَى لِأُولِي الْأَلْبَابِ39.21
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২১। আলাম্ তারা আন্নাল্লা-হা আন্যালা মিনাস্ সামা-য়ি মা-য়ান্ ফাসালাকাহূ ইয়ানা-বী‘আ ফিল্ র্আদ্বি ছুম্মা ইয়ুখ্রিজু বিহী র্যা‘আম্ মুখ্তালিফান্ আল্ওয়া- নুহূ ছুম্মা ইয়াহীজু ফাতার-হু মুর্ছ্ফারান্ ছুম্মা ইয়াজ্ব্ ‘আলুহূ হুত্বোয়া-মা-; ইন্না ফী যা-লিকা লাযিক্রা- লিঊলিল্ আল্বা-ব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২১ তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য।
أَفَمَنْ شَرَحَ اللَّهُ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ فَهُوَ عَلَى نُورٍ مِنْ رَبِّهِ فَوَيْلٌ لِلْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُمْ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ39.22
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২২। আফামান্ শারহাল্লা-হু ছোয়াদ্রহূ লিল্ইস্লা-মি ফাহুওয়া ‘আলা-নূরিম্ র্মি রব্বিহ; ফাওয়াইলুল্লিল্ ক্ব-সিয়াতি কুলূবুহুম্ মিন্ যিকরিল্লা-হ্; উলা-য়িকা ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২২ আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ খুলে দিয়েছেন ফলে সে তার রবের পক্ষ থেকে নূরের উপর রয়েছে, (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়?) অতএব ধ্বংস সে লোকদের জন্য যাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেছে আল্লাহর স্মরণ থেকে। তারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।
اللَّهُ نَزَّلَ أَحْسَنَ الْحَدِيثِ كِتَابًا مُتَشَابِهًا مَثَانِيَ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُودُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُودُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ثُمَّ تَلِينُ جُلُودُهُمْ وَقُلُوبُهُمْ إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ ذَلِكَ هُدَى اللَّهِ يَهْدِي بِهِ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ39.23
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৩। আল্লা-হু নায্যালা আহ্স্নাল্ হাদীছি কিতা-বাম্ মুতাশা-বিহাম্ মাছা-নিয়া তাক্ব্শ্ইর্’রু মিন্হু জুলূ দুল্লাযীনা ইয়াখ্শাওনা রব্বাহুম্ ছুম্মা তালীনু জুলূদুহুম্ অকুলূবুহুম্ ইলা-যিক্রিল্লা-হ্; যা-লিকা হুদাল্লা-হি ইয়াহ্দী বিহী মাইঁ ইয়াশা-য়্; অমাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিন্ হা-দ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৩ আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম বাণী, সাদৃশ্যপূর্ণ একটি কিতাব (আল কুরআন), যা বারবার আবৃত্তি করা হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গা এতে শিহরিত হয়, তারপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়। এটা আল্লাহর হিদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
أَفَمَنْ يَتَّقِي بِوَجْهِهِ سُوءَ الْعَذَابِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَقِيلَ لِلظَّالِمِينَ ذُوقُوا مَا كُنْتُمْ تَكْسِبُونَ24
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৪। আফামাইঁ ইয়াত্তাক্বী বিঅজ্ব্হিহী সূ-য়াল্ ‘আযা-বি ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্; অক্বীলা লিজ জোয়া-লিমীনা যূকুমা-কুন্তুম্ তাক্সিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৪ যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার মুখমণ্ডল দ্বারা কঠিন আযাব ঠেকাতে চাইবে (সে কি তার মত যে শাস্তি থেকে নিরাপদ?) আর যালিমদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা যা অর্জন করতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর।
كَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَأَتَاهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ39.25
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৫। কায্যাবাল লাযীনা মিন্ ক্বব্লিহিম্ ফাআতা-হুমুল্ ‘আযা-বু মিন্ হাইছু লা-ইয়াশ্ ‘ঊরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৫ তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারাও অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদের প্রতি এমন ভাবে আযাব এসেছিল যে, তারা অনুভব করতে পারেনি।
فَأَذَاقَهُمُ اللَّهُ الْخِزْيَ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَكْبَرُ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ 39.26
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৬। ফাআযা-ক্বাহুমু ল্লা-হুল্ খিয্ইয়া-ফিল্ হাইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অলা‘আযা-বুল্ আ-খিরতি আকর্বা। লাও কা-নূ ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৬ ফলে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা আস্বাদন করালেন, আর আখিরাতের আযাব নিশ্চয় আরো বড়, যদি তারা জানত।
وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِي هَذَا الْقُرْآنِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ39.27
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৭। অলাক্বদ্ দ্বোয়ারব্না-লিন্না-সি ফী হা-যাল্ ক্বর্ ুআ-নি মিন্ কুল্লি মাছালিল্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাযাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৭ আর নিশ্চয় আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য প্রত্যেক প্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।
قُرْءَانًا عَرَبِيًّا غَيْرَ ذِي عِوَجٍ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ39.28
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৮। ক্বর্ আ-নান্ ‘আরাবিয়্যান্ গইর যী ‘ইওয়াজ্বিল্লা‘আল্লা-হুম্ ইয়াত্তাকূূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৮ বক্রতামুক্ত আরবী কুরআন। যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে। ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا رَجُلًا فِيهِ شُرَكَاءُ مُتَشَاكِسُونَ وَرَجُلًا سَلَمًا لِرَجُلٍ هَلْ يَسْتَوِيَانِ مَثَلًا الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ39.29
আরবি উচ্চারণ ৩৯.২৯। দ্বোয়ারাবাল্লা-হু মাছার্লা রাজুলান্ ফীহি শুরকা-য়ু মুতাশা-কিসূনা অরজুলান্ সালামাল্লি রজু ল্; হাল্ ইয়াস্তাওয়্যিইয়া-নি মাছালা-; আল্হাম্দু লিল্লা-হি বাল্ আক্ছারুহুম্ লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.২৯ আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন, এক ব্যক্তি যার মনিব অনেক, যারা পরস্পর বিরোধী; এবং আরেক ব্যক্তি, যে এক মনিবের অনুগত, এ দু’জনের অবস্থা কি সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ39.30
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩০। ইন্নাকা মাইয়্যিতুঁও অইন্নাহুম্ মাইয়্যিতূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩০ নিশ্চয় তুমি মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।
ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ39.31
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩১। ছুম্মা ইন্নাকুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ‘ইন্দা রব্বিকুম্ তাখ্তাসিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩১ তারপর কিয়ামতের দিন নিশ্চয় তোমরা তোমাদের রবের সামনে ঝগড়া করবে।
فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَذَبَ عَلَى اللَّهِ وَكَذَّبَ بِالصِّدْقِ إِذْ جَاءَهُ أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِلْكَافِرِينَ39.32
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩২। ফামান্ আজ্লামু মিম্মান্ কাযাবা আলা ল্লা-হি অকায্যাবা বিছ্ছিদ্ক্বি ইয্ জ্বা-য়াহ্; আলাইসা ফী জ্বাহান্নামা মাছ্ওয়া ল্লিল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩২ সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে এবং তার কাছে সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে? জাহান্নামেই কি কাফিরদের আবাসস্থল নয়?
وَالَّذِي جَاءَ بِالصِّدْقِ وَصَدَّقَ بِهِ أُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ39.33
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৩। অল্লাযী জ্বা-য়া বিছ্ছিদ্ক্বি অছোয়াদ্দাক্বা বিহী য়উলা-য়িকা হুমুল্ মুত্তাকুন্। বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৩ আর যে সত্য নিয়ে এসেছে এবং যে তা সত্য বলে মেনে নিয়েছে, তারাই হল মুত্তাকী।
لَهُمْ مَا يَشَاءُونَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ذَلِكَ جَزَاءُ الْمُحْسِنِينَ39.34
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৪। লাহুম্ মা-ইয়াশা-য়ূনা ‘ইন্দা রব্বিহিম্; যা- লিকা জ্বাযা-য়ুল্ মুহ্সিনীন্। বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৪ তাদের জন্য তাদের রবের কাছে তা-ই রয়েছে যা তারা চাইবে । এটাই মুমিনদের পুরস্কার।
لِيُكَفِّرَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَسْوَأَ الَّذِي عَمِلُوا وَيَجْزِيَهُمْ أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ الَّذِي كَانُوا يَعْمَلُونَ39.35
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৫। লিইয় কাফ্ফিরাল্লা-হু ‘আন্হুম্ আস্ওয়া আল্লাযী ‘আমিলূ ওয়াইয়াজযিয়াহুম্ আজরহুম্ বি আহ্সানিল্ লাযী কা-নূ ইয়া’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৫ যাতে তারা যেসব মন্দ কাজ করেছিল, আল্লাহ তা ঢেকে দেন এবং তারা যে সর্বোত্তম আমল করত তার প্রতিদানে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।
أَلَيْسَ اللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُ وَيُخَوِّفُونَكَ بِالَّذِينَ مِنْ دُونِهِ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ39.36
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৬। আলাইসাল্লা-হু বিকা-ফিন্ ‘আব্দাহ্; অ ইয়ুখাওয়্যিফূনাকা বিল্লাযীনা মিন্ দূনিহ্; অমাইঁ ইয়্যুদ্ব্লিলিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিন্ হা-দ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৬ আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তারা তোমাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের ভয় দেখায়। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
وَمَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ مُضِلٍّ أَلَيْسَ اللَّهُ بِعَزِيزٍ ذِي انْتِقَامٍ 39.37
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৭। অ মাই ইয়াহ্দিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিম্ মুদ্বিল্; আলাইসা ল্লা-হু বি ‘আযীযিন্ যিন্ তিক্ব-ম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৭ আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন, তার জন্য কোন পথভ্রষ্টকারী নেই। আল্লাহ কি মহাপরাক্রমশালী প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?
وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ قُلْ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ أَرَادَنِيَ اللَّهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهِ أَوْ أَرَادَنِي بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكَاتُ رَحْمَتِهِ قُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ عَلَيْهِ يَتَوَكَّلُ الْمُتَوَكِّلُونَ39.38
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৮। অ লায়িন্ সায়াল্তাহুম্ মান্ খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া লাইয়াকু লুন্না ল্লা-হ্; কুল্ আফারয়াইতুম্ মা-তাদ্‘ঊনা মিন্ দূনিল্লা-হি ইন্ আর-দানিয়াল্লা-হু বিদ্বর্ রিন্ হাল্ হুন্না কা-শিফা-তু র্দুরিহী য় আও আর-দানী বিরহ্মাতিন্ হাল্ হুন্না মুম্সিকা-তু রহ্মাতিহ্; কুল্ হাস্বিয়াল্লা-হ্; ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল্ মুতাওয়াক্কিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৮ আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ- আল্লাহ আমার কোন ক্ষতি চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাক তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমাকে রহমত করতে চাইলে তারা সেই রহমত প্রতিরোধ করতে পারবে’? বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। তাওয়াক্কুলকারীগণ তাঁর উপরই তাওয়াক্কুল করে।
قُلْ يَا قَوْمِ اعْمَلُوا عَلَى مَكَانَتِكُمْ إِنِّي عَامِلٌ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ39.39
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৩৯। কুল্ ইয়া-ক্বওমি’মালূ ‘আলা-মাকা-নাতিকুম্ ইন্নী ‘আমিলুন্ ফাসাওফা তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৩৯ বল, ‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের স্থলে কাজ করে যাও, নিশ্চয় আমিও আমার কাজ করব। অতঃপর শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে’।
مَنْ يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُقِيمٌ39.40
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪০। মাইঁইয়াতীহি আযা বুইঁইয়ুখ্যীহি অ ইয়াহিল্লু ‘আলাইহি ‘আযা-বুম্ মুক্বীম্। বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪০ কার উপর লাঞ্ছনাদায়ক আযাব আসবে এবং কার উপর স্থায়ী আযাব আপতিত হবে?
إِنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّ فَمَنِ اهْتَدَى فَلِنَفْسِهِ فَمَنِ اهْتَدَى فَلِنَفْسِهِ وَمَنْ ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا وَمَا أَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيلٍ39.41
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪১। ইন্না য় আন্যাল্না- ‘আলাইকাল্ কিতা-বা লিন্না-সি বিল্হাকক্বি ফামানিহ্ তাদা-ফালিনাফ্সিহী অমান্ দ্বোয়াল্লা ফাইন্নামা-ইয়াদ্বিল্লু ‘আলাইহা- অমা য় আন্তা ‘আলাইহিম্ বিঅকীল্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪১ নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি মানুষের জন্য; তাই যে সৎপথ অবলম্বন করে, সে তা নিজের জন্যই করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয় সে নিজের ক্ষতির জন্যই পথভ্রষ্ট হয়। আর তুমি তাদের তত্ত্বাবধায়ক নও।
اللَّهُ يَتَوَفَّى الْأَنْفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَالَّتِي لَمْ تَمُتْ فِي مَنَامِهَا فَيُمْسِكُ الَّتِي قَضَى عَلَيْهَا الْمَوْتَ وَيُرْسِلُ الْأُخْرَى إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ39.42
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪২। আল্লা-হু ইয়াতাওয়াফ্ফাল্ আন্ফুসা হীনা মাওতিহা-অল্লাতী লাম্ তামুত্ ফী মানা-মিহা-ফাইয়ুম্সিকুল্ লাতী ক্বাদ্বোয়া- ‘আলাইহাল্ মাওতা অইর্য়ুসিলুল্ উখ্র য় ইলা য় আজ্বালিম্ মুসাম্মা; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তিল্ লিক্বওমিঁই ইয়া তাফাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪২ আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফয়সালা করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল কওমের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
أَمِ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ شُفَعَاءَ قُلْ أَوَلَوْ كَانُوا لَا يَمْلِكُونَ شَيْئًا وَلَا يَعْقِلُونَ39.43
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৩। আমিত্তাখযূ মিন্ দূনিল্লা-হি শুফা‘আ-য়্; কুল্ আওয়ালাও কা-নূ লা-ইয়াম্লিকূনা শাইয়াঁও অলা-ইয়া’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৩ তবে কি তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে সুপারিশকারী বানিয়েছে? বল, ‘তারা কোন কিছুর মালিক না হলেও এবং তারা না বুঝলেও’?
قُلْ لِلَّهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيعًا لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ 39.44
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৪। কুল্ লিল্লা-হিশ্ শাফা- ‘আতু জ্বামী‘আন; লাহূ মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; ছুম্মা ইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৪ বল, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহর মালিকানাধীন। আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব একমাত্র তাঁরই। তারপর তোমরা তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে’।
وَإِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَحْدَهُ اشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ وَإِذَا ذُكِرَ الَّذِينَ مِنْ دُونِهِ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ39.45
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৫। অইযা-যুকিরাল্লা-হু ওয়াহ্দাহুশ্ মায়ায্যাত্ কুলূবুল্ লাযীনা লা-ইযুমিনূনা বিল্আ-খিরতি অইযা-যুকিরাল্ লাযীনা মিন্ দূনিহী য় ইযা-হুম্ ইয়াস্তাব্শিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৫ যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, এক আল্লাহর কথা বলা হলে তাদের অন্তর সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যগুলোর কথা বলা হলে তখনই তারা আনন্দে উৎফুল¬ হয়।
قُلِ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِي مَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ39.46
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৬। কুলি ল্লা-হুম্মা ফা-ত্বিরস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বি ‘আ-লিমাল্ গইবি অশ্শাহা-দাতি আন্তা তাহ্কুমু বাইনা ‘ইবা-দিকা ফী মা-কা-নূ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৬ বল, ‘হে আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, গায়েব ও উপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞানী; তুমি তোমার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবে যাতে তারা মতবিরোধ করছে’।
وَلَوْ أَنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لَافْتَدَوْا بِهِ مِنْ سُوءِ الْعَذَابِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَبَدَا لَهُمْ مِنَ اللَّهِ مَا لَمْ يَكُونُوا يَحْتَسِبُونَ 39.47
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৭। অলাও আন্না লিল্লাযীনা জোয়ালামূ মা-ফিল্ র্আদ্বি জ্বামী‘আঁও অমিছ্লাহূ মা‘আহূ লাফ্তাদাও বিহী মিন্ সূ-য়িল্ ‘আযা-বি ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্; অ বাদা-লাহুম্ মিনাল্লা-হি মা-লাম্ ইয়াকূনূ ইয়াহ্তাসিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৭ আর যারা যুলম করেছে, যদি যমীনে যা আছে তা সব এবং এর সমপরিমাণও তাদের জন্য হয়; তবে কিয়ামতের দিন কঠিন আযাব থেকে বাঁচার জন্য মুক্তিপণস্বরূপ তারা তা দিয়ে দেবে। সেখানে আল্লাহর কাছে থেকে তাদের জন্য এমন কিছু প্রকাশিত হবে, যা তারা কখনো কল্পনাও করত না।
وَبَدَا لَهُمْ سَيِّئَاتُ مَا كَسَبُوا وَحَاقَ بِهِمْ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ39.48
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৮। অবাদা-লাহুম্ সাইয়িয়া-তু মা-কাসাবূ অহা-ক্বা বিহিম্ িমা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৮ আর তারা যা অর্জন করেছিল তার মন্দ ফল তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রু করত তা-ই তাদেরকে পরিবেষ্টন করবে।
فَإِذَا مَسَّ الْإِنْسَانَ ضُرٌّ دَعَانَا ثُمَّ إِذَا خَوَّلْنَاهُ نِعْمَةً مِنَّا قَالَ إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ بَلْ هِيَ فِتْنَةٌ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ39.49
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৪৯। ফাইযা মাস্সাল্ ইন্সা-না র্দ্বুরুন দা‘আ-না- ছুম্মা ইযা-খাওয়্যাল্না-হু নি’মাতাম্ মিন্না-ক্ব-লা ইন্নামা য় ঊতীতুহূ ‘আলা-‘ইল্ম্; বাল্ হিয়া ফিত্নাতুঁও অলা-কিন্না আক্ছারহুম্ লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৪৯ অতঃপর কোন বিপদাপদ মানুষকে স্পর্শ করলে সে আমাকে ডাকে। তারপর যখন আমি আমার পক্ষ থেকে নি‘আমত দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করি তখন সে বলে, ‘জ্ঞানের কারণেই কেবল আমাকে তা দেয়া হয়েছে’। বরং এটা এক পরীক্ষা। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
قَدْ قَالَهَا الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَمَا أَغْنَى عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ39.50
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫০। ক্বদ্ ক্ব-লাহাল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিহিম্ ফামা য় আগ্না- ‘আন্হুম্ মা-কা-নূ ইয়াক্সিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫০ অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরা এটা বলেছিল। কিন্তু তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের কোন কাজে আসেনি।
فَأَصَابَهُمْ سَيِّئَاتُ مَا كَسَبُوا وَالَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْ هَؤُلَاءِ سَيُصِيبُهُمْ سَيِّئَاتُ مَا كَسَبُوا وَمَا هُمْ بِمُعْجِزِينَ39.51
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫১। ফাআছোয়া-বাহুম্ সাইয়িয়া-তু মা-কাসাবূ ; অল্লাযীনা জোয়ালামূ মিন্ হা য় উলা-য়ি সাইয়ুছীবুহুম্ সাইয়িয়া-তু মা- কাসাবূ অমা-হুম্ বিমু’জ্বিযীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫১ সুতরাং তাদের কৃতকর্মের মন্দ ফল তাদের উপর আপতিত হয়েছিল। এদের মধ্যেও যারা যুলম করে তাদের উপরেও তাদের অর্জনের সব মন্দফল শীঘ্রই আপতিত হবে। আর তারা অক্ষম করতে পারবে না।
أَوَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ39.52
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫২। আওয়া লাম্ ইয়া’লামূ য় আন্নাল্লা-হা ইয়াব্সুত্বর্ রিয্ক্বা লিমাইঁ ইয়াশা-য়ু অইয়াক্বর্ ্দি; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তিল্ লিক্বাওমিঁই ইয়ু’মিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫২ তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন আর সঙ্কুচিত করে দেন? নিশ্চয় এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ39.53
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৩। কুল্ ইয়া-‘ইবাদিয়াল্ লাযীনা আস্রাফূ ‘আলা য় আন্ফুসিহিম্ লা-তাকনাতু র্মি রহ্মাতিল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা জামী‘আ ইন্নাহূ হুওয়াল্ গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৩ বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
وَأَنِيبُوا إِلَى رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا لَهُ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنْصَرُونَ39.54
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৪। অ আনীবূ য় ইলা-রব্বিকুম্ অআস্লিমূ লাহূ মিন্ ক্বব্লি আঁই ইয়াতিয়াকুমুল্ ‘আযা-বু ছুম্মা লা-তুন্ছোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৪ আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
وَاتَّبِعُوا أَحْسَنَ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ 39.55
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৫। অত্তাবি‘ঊ য় আহ্সানা মা য়উন্যিলা ইলাইকুম্ র্মি রব্বিকুম্ মিন্ ক্বাব্লি আইঁ ইয়াতিয়াকুমুল্ ‘আযা-বু বাগ্তাতাঁও অআন্তুম্ লা-তাশ্ঊ’রূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৫ আর অনুসরণ কর উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বে। অথচ তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না।
أَنْ تَقُولَ نَفْسٌ يَا حَسْرَتَا عَلَى مَا فَرَّطْتُ فِي جَنْبِ اللَّهِ وَإِنْ كُنْتُ لَمِنَ السَّاخِرِينَ39.56
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৬। আন্ তাক্বূ লা নাফ্সুঁই ইয়া-হাস্রতা- ‘আলা- মা-র্ফারত্ তু ফী জ্বাম্বি ল্লা-হি অইন্ কুন্তু লামিনাস্ সা-খিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৬ যাতে কাউকেও বলতে না হয়, ‘হায় আফসোস! আল্লাহর হক আদায়ে আমি যে শৈথিল্য করেছিলাম তার জন্য। আর আমি কেবল ঠাট্টা-বিদ্রপকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম’।
أَوْ تَقُولَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ هَدَانِي لَكُنْتُ مِنَ الْمُتَّقِينَ39.57
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৭। আও তাকুলা লাও আন্নাল্লা-হা হাদা-নী লাকুন্তু মিনাল্ মুত্তাক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৭ অথবা যাতে কাউকে একথাও বলতে না হয়, ‘আল্লাহ যদি আমাকে হিদায়াত দিতেন তাহলে অবশ্যই আমি মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
أَوْ تَقُولَ حِينَ تَرَى الْعَذَابَ لَوْ أَنَّ لِي كَرَّةً فَأَكُونَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ39.58
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৮। আও তাকুলা হীনা তারল্ ‘আযা-বা লাও আন্না লী র্কারতান্ ফাআকূনা মিনাল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৮ অথবা আযাব প্রত্যক্ষ করার সময় যাতে কাউকে একথাও বলতে না হয়, ‘যদি একবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ আমার হত, তাহলে আমি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।
بَلَى قَدْ جَاءَتْكَ آيَاتِي فَكَذَّبْتَ بِهَا وَاسْتَكْبَرْتَ وَكُنْتَ مِنَ الْكَافِرِينَ39.59
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৫৯। বালা-ক্বদ্ জ্বা-য়াত্কা আ-ইয়া-তী ফাকায্যাব্তা বিহা-অস্তার্ক্বাতা অকুন্তা মিনাল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৫৯ হ্যাঁ, অবশ্যই তোমার কাছে আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলোকে অস্বীকার করেছিলে এবং তুমি অহঙ্কার করেছিলে। আর তুমি কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ تَرَى الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى اللَّهِ وُجُوهُهُمْ مُسْوَدَّةٌ أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِلْمُتَكَبِّرِينَ 39.60
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬০। অইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি তারল্ লাযীনা কাযাবূ ‘আলাল্লা-হি উজু হুহুম্ মুস্ওয়াদ্দাহ্; আলাইসা ফী জ্বাহান্নামা মাসওয়াল্ লিল্মুতাকাব্বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬০ আর যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কিয়ামতের দিন তুমি তাদের চেহারাগুলো কালো দেখতে পাবে। অহঙ্কারীদের বাসস্থান জাহান্নামের মধ্যে নয় কি?
وَيُنَجِّي اللَّهُ الَّذِينَ اتَّقَوْا بِمَفَازَتِهِمْ لَا يَمَسُّهُمُ السُّوءُ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ39.61
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬১। অইয়ুনাজ্জ্বিল্লা হুল্-লাযীনাত্ তাক্বও বিমাফা-যাতিহিম্ লা-ইয়ামাস্সুহুমুস্ সূ-য়ু অলা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬১ আর আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে তাদের সাফল্যসহ নাজাত দেবেন। কোন অমঙ্গল তাদেরকে স্পর্শ করবে না। আর তারা চিন্তিতও হবে না।
اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ39.62
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬২। আল্লা-হু খ-লিকু কুল্লি শাইয়ি্যঁও অহুঅ ‘আলা-কুল্লি শাইয়্যিঁও অকীল্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬২ আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ39.63
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৩। লাহূ মাক্ব-লীদুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; অল্লাযীনা কাফারূবিআ-ইয়া-তিল্লা-হি উলা য় য়িকা হুমুল্ খ-সিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৩ আসমানসমূহ ও যমীনের চাবিসমূহ তাঁরই কাছে। আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
قُلْ أَفَغَيْرَ اللَّهِ تَأْمُرُونِّي أَعْبُدُ أَيُّهَا الْجَاهِلُونَ39.64
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৪। কুল্ আফাগাইরল্লা-হি তামুরূ-ন্নী য় আ’বুদু আইয়ুহাল্ জ্বা-হিলূন্ ।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৪ বল, ‘হে অজ্ঞরা, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদাত করার আদেশ করছ’?
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ39.65
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৫। অলাক্বদ্ ঊহিয়া ইলাইকা অ ইলাল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিকা লায়িন্ আশ্রক্তা লাইয়াহ্বাত্বোয়ান্না ‘আমালুকা অলাতাকূনান্না-মিনাল্ খ-সিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৫ আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি র্শিক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
بَلِ اللَّهَ فَاعْبُدْ وَكُنْ مِنَ الشَّاكِرِينَ 39.66
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৬। বালিল্লা-হা ফা’বুদ্ অকুঁম্ মিনাশ্ শা-কিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৬ বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদাত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও।
وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّماوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ39.67
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৭। অমা-ক্বদারুল্লা-হা হাকক্বা ক্বদ্রিহী অল্আরদু জ্বামী‘আন্ ক্বাব্দ্বোয়াতুহূ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি অস্সামা-ওয়া-তু মাত্ব্ওয়িয়্যা-তুম্ বিইয়ামীনিহ্; সুব্হা-নাহূ অতা‘আ-লা-‘আম্মা-ইয়ুশ্রিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৭ আর তারা আল্লাহকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর মুষ্টিতে এবং আকাশসমূহ তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা থাকবে। তিনি পবিত্র, তারা যাদেরকে শরীক করে তিনি তাদের ঊর্ধ্বে।
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ39.68
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৮। অনুফিখ ফিছ্ ছূরি ফাছোয়া‘ইক্ব মান্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমান্ ফিল্ র্আদ্বি ইল্লা-মান্ শা-য়াল্লা-হ্; ছুম্মা নুফিখ ফীহি উখ্র-ফাইযা-হুম্ ক্বিয়া-মুইঁ ইয়ান্জুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৮ আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।
وَأَشْرَقَتِ الْأَرْضُ بِنُورِ رَبِّهَا وَوُضِعَ الْكِتَابُ وَجِيءَ بِالنَّبِيِّينَ وَالشُّهَدَاءِ وَقُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ 39.69
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৬৯। অ আশ্রক্বতিল্ র্আদু বিনূরির্ ব্বিহা-অউদ্বি‘আল্ কিতা-বূ অজ্বী-য়া বিন্নাবিয়্যীনা অশ্শুহাদা-য়ি অকুদ্বিয়া বাইনাহুম্ বিল্ হাকক্বি অহুম্ লা -ইয়ুজ্লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৬৯ আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَا عَمِلَتْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَا يَفْعَلُونَ39.70
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭০। অউফ্ফিয়াত্ কুল্লু নাফ্সিম্ মা-‘আমিলাত্ অহুওয়া আ’লামু বিমা-ইয়াফ্‘আলূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭০ আর প্রত্যেককে তার আমলের পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে এবং তারা যা করে সে সম্পর্কে তিনিই সর্বাধিক পরিজ্ঞাত।
وَسِيقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى جَهَنَّمَ زُمَرًا حَتَّى إِذَا جَاءُوهَا فُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ آيَاتِ رَبِّكُمْ وَيُنْذِرُونَكُمْ لِقَاءَ يَوْمِكُمْ هَذَا قَالُوا بَلَى وَلَكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ عَلَى الْكَافِرِينَ39.71
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭১। অসীক্বল্লাযীনা কাফারূ য় ইলা-জ্বাহান্নামা যুমারা-; হাত্তা য় ইযা-জ্বা-য়ূহা-ফুতিহাত্ আব্ওয়া বুহা-অক্ব-লা লাহুম্ খযানাতুহা য় আলাম্ ইয়াতিকুম্ রুসুলুম্ মিন্কুম্ ইয়াত্লূনা ‘আলাইকুম্ আ-ইয়া-তি রব্বিকুম্ অইয়ুন্যিরূনাকুম্ লিক্ব-য়া ইয়াওমিকুম্ হা-যা-; ক্ব-লূ বালা-অলা-কিন্ হাক্ব্ক্বত কালিমাতুল্ আযা-বি ‘আলাল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭১ আর কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে এসে পৌঁছবে তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে কি রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের রবের আয়াতগুলো তিলাওয়াত করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করত’? তারা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল’; কিন্তু কাফিরদের উপর আযাবের বাণী সত্যে পরিণত হল।
قِيلَ ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ 39.72
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭২। ক্বীলাদ্ খুলূ য় আব্ওয়া-বা জ্বাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা-ফাবিসা মাছ্ওয়াল্ মুতাকাব্বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭২ বলা হবে, ‘তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহে প্রবেশ কর, তাতেই স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। অতএব অহঙ্কারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট’!
وَسِيقَ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ زُمَرًا حَتَّى إِذَا جَاءُوهَا وَفُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلَامٌ عَلَيْكُمْ طِبْتُمْ فَادْخُلُوهَا خَالِدِينَ39.73
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭৩। অসীক্বল্ লাযী নাত্ তাক্বও রব্বাহুম্ ইলাল্ জ্বান্নাতি যুমারা-; হাত্তা য় ইযা-জ্বা-য়ুহা-অফুতিহাত্ আব্ওয়া-বুহা-অক্ব-লা লাহুম্ খাযানাতুহা-সালা-মুন্ ‘আলাইকুম্ ত্বিব্তুম্ ফাদ্খুলূহা-খা-লিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭৩ আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন সেখানে এসে পৌঁছবে এবং এর দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে তখন জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা ভাল ছিলে। অতএব স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এখানে প্রবেশ কর’।
وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَنَا وَعْدَهُ وَأَوْرَثَنَا الْأَرْضَ نَتَبَوَّأُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ نَشَاءُ فَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ39.74
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭৪। অক্ব-লুল্ হাম্দু লিল্লা-হিল্ লাযী ছদাক্বানা ওয়া’দাহূ অ আওরছানাল্ র্আদ্বোয়া নাতাবাওয়্যায়ু মিনাল্ জ্বান্নাতি হাইছু নাশা-য়ু ফানি’মা আজরুল্ ‘আ-মিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭৪ আর তারা বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের প্রতি তার ওয়াদাকে সত্য করেছেন। আর আমাদেরকে যমীনের অধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতে যেখানে ইচ্ছা বসবাসের জায়গা করে নেব। অতএব (নেক) আমলকারীদের প্রতিফল কতইনা উত্তম’!
وَتَرَى الْمَلَائِكَةَ حَافِّينَ مِنْ حَوْلِ الْعَرْشِ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَقُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَقِيلَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ 39.75
আরবি উচ্চারণ ৩৯.৭৫। অ তারল্ মালা-য়িকাতা হা-ফ্ফীনা মিন্ হাওলিল্ ‘র্আশি ইয়ুসাব্বিহূনা বিহাম্দি রব্বিহিম্ অকুদ্বিয়া বাইনাহুম্ বিল্ হাকক্বি অক্বীলাল্ হাম্দু লিল্লা-হি রব্বিল্ আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৯.৭৫ আর তুমি ফেরেশতাদেরকে আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করতে দেখতে পাবে। আর তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করে দেয়া হবে এবং বলা হবে ‘সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য’।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত