শেয়ার মূলধন কি এবং শেয়ার মূলধনের শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর

Google Adsense Ads

শেয়ার মূলধন কি এবং শেয়ার মূলধনের শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর

শেয়ার মূলধন কি?

শেয়ার মূলধন (Share Capital) হলো সেই অর্থ যা একটি কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে শেয়ার বিক্রি করে সংগ্রহ করে। এটি কোম্পানির আয় এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলধন সরবরাহ করে। শেয়ার মূলধন মূলত কোম্পানির মালিকানার অংশ হিসেবে ভাগ করা হয় এবং এটি কোম্পানির মূলধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শেয়ার মূলধন কোম্পানির আর্থিক শক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং এটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণে সহায়ক।


শেয়ার মূলধন শ্রেণীবিভাগ

শেয়ার মূলধন বিভিন্ন ধরনের শেয়ারের মাধ্যমে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। প্রধানত দুটি শ্রেণী আছে: স্বাভাবিক শেয়ার এবং অগ্রাধিকার শেয়ার। তবে, এদের আরও কিছু শাখা বা উপবিভাগও থাকতে পারে।

১. সাধারণ শেয়ার (Ordinary Shares)

  • বৈশিষ্ট্য: সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির মালিকানা লাভ করে এবং তাদের ব্যবসায়িক মুনাফা এবং সম্পত্তিতে অংশীদারি থাকে। তারা ভোটাধিকার পায় এবং কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করে।
  • লভ্যাংশ: সাধারণ শেয়ারধারীরা লভ্যাংশ পান তবে তা কোম্পানির মুনাফা এবং পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। এই লভ্যাংশ সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • ঝুঁকি: সাধারণ শেয়ারধারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। কোম্পানি দেউলিয়া হলে প্রথমে অগ্রাধিকার শেয়ারধারীরা এবং ঋণদাতারা তাদের পাওনা পরিশোধ পাবে, তারপর সাধারণ শেয়ারধারীদের পরিশোধ করা হবে।

২. অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Shares)

  • বৈশিষ্ট্য: অগ্রাধিকার শেয়ারধারীরা সাধারণ শেয়ারধারীদের তুলনায় প্রথমে লভ্যাংশ পায়। তাদের ভোটাধিকার থাকে না বা খুব সীমিত থাকে, তবে তারা নির্দিষ্ট লভ্যাংশের অধিকারী হয়।
  • লভ্যাংশ: অগ্রাধিকার শেয়ারধারীরা সাধারণ শেয়ারধারীদের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পায়। তারা নির্দিষ্ট একটি নির্ধারিত লভ্যাংশ পায়, যা সাধারণ শেয়ারধারীদের আগে প্রদান করা হয়।
  • ঝুঁকি: অগ্রাধিকার শেয়ারধারীরা সাধারণ শেয়ারধারীদের তুলনায় কম ঝুঁকির সম্মুখীন হন, তবে কোম্পানি দেউলিয়া হলে, তাদের পাওনা পরিশোধের আগে ঋণদাতাদের পাওনা পরিশোধ করতে হয়।

আরো ও সাজেশন:-

Honors Suggestion Linksপ্রশ্ন সমাধান সমূহ
Degree Suggestion LinksBCS Exan Solution
HSC Suggestion Links2016 সাল থেকে সকল জব পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর
SSC ‍& JSC Suggestion Linksবিষয় ভিত্তিক জব পরিক্ষার সাজেশন

৩. মেম্বারশিপ শেয়ার (Membership Shares)

  • বৈশিষ্ট্য: কিছু প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বিশেষভাবে সদস্যদের জন্য মেম্বারশিপ শেয়ার ইস্যু করে। এগুলো সাধারণত সেবা বা সমবায় কোম্পানিতে ব্যবহৃত হয়। সদস্যরা এই শেয়ারধারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে সদস্য হিসেবে থাকেন।
  • লভ্যাংশ: মেম্বারশিপ শেয়ারের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের হার সাধারণত কম এবং কিছু ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকে।

৪. পারটেক্স শেয়ার (Participating Shares)

  • বৈশিষ্ট্য: এই শেয়ারধারীরা সাধারণ শেয়ারধারীদের মত লভ্যাংশ এবং সম্পত্তির উপর অংশীদার হতে পারে। তবে, তাদের একটি নির্দিষ্ট লভ্যাংশের পর অতিরিক্ত লভ্যাংশ গ্রহণের অধিকার থাকে।
  • লভ্যাংশ: তাদের নির্দিষ্ট লভ্যাংশ পাওয়ার পর, তারা অতিরিক্ত লাভের ভাগও পেতে পারে, যা সাধারণ শেয়ারধারীরা পায় না।

৫. নন-পারটেক্স শেয়ার (Non-Participating Shares)

  • বৈশিষ্ট্য: এই শেয়ারের অধিকারীরা নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়ার পর কোম্পানির অতিরিক্ত মুনাফা বা সম্পত্তিতে অংশগ্রহণ করে না। তারা নির্দিষ্ট লভ্যাংশের বাইরে অতিরিক্ত কিছু পায় না।

শেয়ার মূলধন শ্রেণীভিত্তিক বিভাজন

শেয়ার মূলধনকে আরো বিস্তারিতভাবে শ্রেণীভুক্ত করা যেতে পারে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে:

  1. অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে: সাধারণ শেয়ার এবং অগ্রাধিকার শেয়ার
  2. লভ্যাংশের ভিত্তিতে: পারটেক্স শেয়ার ও নন-পারটেক্স শেয়ার
  3. বিনিয়োগের শর্তাবলী অনুযায়ী: অধিকারপূর্ণ শেয়ার ও সাধারন শেয়ার

উপসংহার

শেয়ার মূলধন হলো কোম্পানির অর্থ সংগ্রহের একটি প্রধান উৎস এবং এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের শেয়ারের মাধ্যমে শ্রেণীবদ্ধ হতে পারে, যেমন সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, এবং পারটেক্স শেয়ার। কোম্পানি তার ব্যবসায়িক প্রয়োজন এবং শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধার উপর ভিত্তি করে শেয়ার ইস্যু করে এবং মূলধন সংগ্রহ করে থাকে।

Google Adsense Ads

উপসংহার : শেয়ার মূলধন কি এবং শেয়ার মূলধনের শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ শেয়ার মূলধন কি এবং শেয়ার মূলধনের শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Comment