বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে লিখ

Google Adsense Ads

বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে লিখ

বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM):

বার্ষিক সাধারণ সভা (Annual General Meeting) হলো একটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার এবং পরিচালনা পরিষদের মধ্যে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এটি কোম্পানির আর্থিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, লভ্যাংশ অনুমোদন, পরিচালকদের নির্বাচন, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

কোম্পানি আইন অনুযায়ী পাবলিক কোম্পানির জন্য AGM আয়োজন বাধ্যতামূলক। প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে AGM আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা থাকে না।


বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্দেশ্য:

  1. শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানির আর্থিক তথ্য সরবরাহ করা।
  2. পরিচালনা পরিষদের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন।
  3. শেয়ারহোল্ডারদের মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ।
  4. কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা।
  5. কোম্পানির স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা।

বার্ষিক সাধারণ সভার বিষয়বস্তু:

১. আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন:

  • কোম্পানির আয়-ব্যয়ের হিসাব, ব্যালান্স শিট, এবং বার্ষিক রিপোর্ট শেয়ারহোল্ডারদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।

২. লভ্যাংশ ঘোষণা ও অনুমোদন:

  • কোম্পানি লাভ করলে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা ও তা অনুমোদন করা হয়।

৩. পরিচালকদের নির্বাচন বা পুনর্নির্বাচন:

  • পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের পুনর্নির্বাচন বা নতুন সদস্য যোগ করার জন্য ভোটাভুটি হয়।

৪. নিরীক্ষকের নিয়োগ:

  • বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক (Auditor) নিয়োগ এবং তাদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়।

আরো ও সাজেশন:-

Honors Suggestion Linksপ্রশ্ন সমাধান সমূহ
Degree Suggestion LinksBCS Exan Solution
HSC Suggestion Links2016 সাল থেকে সকল জব পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর
SSC ‍& JSC Suggestion Linksবিষয় ভিত্তিক জব পরিক্ষার সাজেশন

৫. কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

  • কোম্পানির ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

৬. শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নোত্তর পর্ব:

  • শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভার নিয়মাবলী:

  1. সময়সীমা:
    • কোম্পানির প্রথম AGM নিবন্ধনের ১৮ মাসের মধ্যে আয়োজন করতে হবে।
    • এর পর থেকে প্রতি আর্থিক বছরের শেষে AGM আয়োজন বাধ্যতামূলক।
  2. নোটিশ:
    • AGM আয়োজনের ২১ দিন আগে শেয়ারহোল্ডারদের নোটিশ প্রদান করতে হয়।
    • নোটিশে তারিখ, সময়, স্থান এবং আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করতে হয়।
  3. কোরাম:
    • বৈঠক শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন, যা কোরাম হিসেবে বিবেচিত হয়।
  4. ভোটিং:
    • গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ভোটিং ব্যবস্থা রাখা হয়।
  5. আইন মেনে চলা:
    • AGM পরিচালনার সময় কোম্পানি আইন এবং নির্ধারিত বিধি-বিধান মেনে চলতে হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব:

১. স্বচ্ছতা নিশ্চিত:

AGM শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এবং কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ তথ্য সরবরাহ করে।

২. শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার রক্ষা:

AGM শেয়ারহোল্ডারদের তাদের মতামত প্রকাশ এবং কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।

৩. পরিচালন পর্যালোচনা:

পরিচালনা পরিষদের কার্যক্রম মূল্যায়নের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হন।

৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ:

AGM-এ শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ, পরিচালকদের নির্বাচন, এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

৫. আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ:

AGM আয়োজন কোম্পানি আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত, যা কোম্পানিকে আইন মেনে পরিচালিত হতে সহায়তা করে।

Google Adsense Ads


উপসংহার:

বার্ষিক সাধারণ সভা হলো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার এবং পরিচালনা পরিষদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি মাধ্যম। এটি কোম্পানির সুশাসন, স্বচ্ছতা, এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। AGM আয়োজনের মাধ্যমে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের আস্থা অর্জন করতে পারে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের উন্নয়নে সহযোগিতা পেতে পারে।

উপসংহার : বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে লিখ

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে লিখ

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Comment