Google Adsense Ads
পরিচালকের ক্ষমতার উপর বাধা নিষেধগুলো কি কি
কোম্পানির পরিচালকদের ক্ষমতার উপর কিছু বাধা-নিষেধ সাধারণত কোম্পানির সংবিধান, আইন, শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার, এবং কর্পোরেট গভর্নেন্সের নীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত হয়। যদিও পরিচালকদের অনেক ক্ষমতা থাকে, তবুও তাদের কিছু কাজের উপর বাধা বা নিষেধ আরোপ করা হয়। নিচে পরিচালকদের ক্ষমতার ওপর কিছু সাধারণ বাধা-নিষেধ উল্লেখ করা হলো:
১. শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন ছাড়া বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া:
- পরিচালকদের কিছু সিদ্ধান্ত যেমন অধিগ্রহণ, একীভূতকরণ, বড় বিনিয়োগ বা সম্পদ বিক্রি করতে হলে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হয়।
- কোম্পানির আইনে বা সংবিধানে নির্ধারিত শর্তে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এবং এসব ক্ষেত্রে পরিচালকদের সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল থাকে।
২. আইনের পরিপন্থী কাজ:
- পরিচালকদের অবশ্যই স্থানীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানের আওতায় কাজ করতে হয়।
- অর্থ আত্মসাৎ, কর ফাঁকি, অথবা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা পরিচালকদের জন্য নিষিদ্ধ।
- দুর্নীতি এবং স্বার্থের সংঘাত থেকে বিরত থাকা পরিচালক কর্তব্য।
৩. অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
- পরিচালকদের কিছু সিদ্ধান্ত, যা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের বিরুদ্ধে হতে পারে, কোম্পানির সুশাসনের নীতি ভঙ্গ করে এবং আইনি এবং নৈতিক দায়িত্বের বিরুদ্ধে চলে।
- গোল্ডেন প্যারাশুট বা অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের অনুমোদন যেমন সিদ্ধান্ত, যা শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি করতে পারে, সেগুলি পরিচালকদের জন্য অগ্রহণযোগ্য হতে পারে।
৪. ব্যক্তিগত স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
- পরিচালকদের অবশ্যই বিশ্বাস এবং সততার শর্ত মেনে চলতে হবে। তারা কখনই নিজস্ব স্বার্থ বা পারিবারিক স্বার্থে কোম্পানির সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
- এটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করার শামিল হতে পারে।
৫. অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার (Insider Trading):
- অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার করে শেয়ার কেনা-বেচা করা পরিচালকদের জন্য অনৈতিক ও আইনত অপরাধ।
- এটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অযথা ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং পরিচালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
৬. কোনো চুক্তি বা লেনদেনে অংশগ্রহণ করা:
- পরিচালকদের কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থে বা কোনো সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানে কোম্পানির পক্ষ থেকে চুক্তি বা লেনদেনে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়।
- সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে থাকা পরিচালকদের উপর এ ধরনের বাধা আরোপ করা হয়।
৭. অধিক ক্ষমতার ব্যবহার (Abuse of Power):
- অতিরিক্ত ক্ষমতার ব্যবহার বা প্রভাব খাটানো নিষিদ্ধ, যেমন দলের পক্ষ থেকে বেতন বা সুবিধা নির্ধারণের ক্ষেত্রে একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
- কোম্পানির কোন কর্মচারী বা শেয়ারহোল্ডারের উপর অবৈধ প্রভাব খাটানো পরিচালকদের জন্য একটি গুরুতর আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব লঙ্ঘন।
৮. অনৈতিক বা অবৈধ বিনিয়োগ:
- পরিচালকদের জন্য অনৈতিক বা অবৈধ বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া নিষিদ্ধ।
- যেমন, এমন কোনো উদ্যোগে বিনিয়োগ করা যা কোম্পানির স্বার্থে ঝুঁকি তৈরি করে অথবা সরকারের বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে বিনিয়োগ করা।
৯. পদত্যাগ না করা বা অস্থায়ী পরিচালকের দায়িত্ব পালন না করা:
- কিছু ক্ষেত্রে, পরিচালকদের পদত্যাগের বা অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা গ্রহণের সময়সূচী মেনে চলতে বাধ্য করা হয়।
- ব্যক্তিগত বা স্বাস্থ্যের কারণে পরিচালকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাধ্যবাধকতা থাকে।
উপসংহার:
কোম্পানির পরিচালকদের উপর কিছু নির্দিষ্ট বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়, যাতে তারা কোম্পানির স্বার্থে ন্যায়বিচার, সততা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পারেন। এই বিধিনিষেধগুলি কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Google Adsense Ads
উপসংহার : পরিচালকের ক্ষমতার উপর বাধা নিষেধগুলো কি কি
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ পরিচালকের ক্ষমতার উপর বাধা নিষেধগুলো কি কি
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News অনুসরণ করুন
আরো পড়ুন:
- বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পর্কে লিখ
- কার্যারম্ভের তাৎপর্য বণনা কর। কার্যারম্ভের গুরুত্ব লেখ। কার্যারম্ভের উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
- কোম্পানির কার্যারম্ভের কি বিস্তারিত আলোচনা কর
- বার্ষিক সাধারণ সভার তাৎপর্য বণনা কর। বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব লেখ
- সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ার এর মধ্যে পার্থক্য সমূহ আলোচনা কর
Google Adsense Ads