ক্ষুদ্র অর্থায়নের চাহিদা ও যোগান সমূহের বিবরণ দাও
ক্ষুদ্র অর্থায়ন বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও উন্নয়নের কার্যকর কৌশল হিসেবে বিবেচিত ক্ষুদ্র অর্থায়ন দ্বারা দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী ও জামানতবিহীনভাবে আর্থিক অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে সামর্থ্য হয়ে থাকে।
প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস ক্ষুদ্র অর্থায়নের পথিকৃৎ এজন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন জামানতবিহীন কৌমল দ্বারা তিনি নতুনভাবে সৃষ্টি করেন। নিম্নে ক্ষুদ্র
যোগানের ব্যাখ্যা আলোচনা করা হলো :
চাহিদা : দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র অর্থায়নের সংজ্ঞা অর্থায়নের চাহিদা ও
১. সংশ্লিষ্ট অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ক্ষুদ্র ও যৎসামান্য ঋণের বিভিন্ন খাতসমূহের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন খাত বলতে উৎপাদন, শিল্প, সেবা এবং কৃষিকে বুঝানো হয়ে থাকে। এছাড়া ব্যবসায়ের ধরন, গ্রাহকের লিঙ্গ, কর্মীর সংখ্যা, বিনিয়োগের পরিমাণ, চলতি মূলধন, ঋণের ইতিহাস, ঋণের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য বিষয়াবলি সংজ্ঞায়িত করা অত্যাবশ্যকীয় ।
২. প্রয়োজনীয় ঋণের শর্ত, মৌসুম, প্রবৃদ্ধি, বিভিন্ন চলকের সংবেদনশীলতা বিভিন্ন খাতের কেন্দ্রভূতকরণের চাহিদার বৈশিষ্ট্য দ্বারা ক্ষুদ্র অর্থায়নের আওতা নির্ধারণ করতে হয়।
৩. ব্যবসায়ের শ্রেণি, আকৃতি, ঋণের শর্ত ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তসমূহ ক্ষুদ্র অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এর মাধ্যমে নিরূপিত হয়ে থাকে ।
৪. রাজনৈতিক গোলযোগ ব্যবসায়িক সমস্যার আনুমানিক মূল্য নির্ধারণ
৫. প্রদানযোগ্য ঋণের বাধা ও সমস্যাসমূহের নির্ধারণ ।
যোগান :
১. বিভিন্ন ‘ক্ষুদ্রঋণ সরবরাহকারী সংস্থার প্রদানযোগ্য ঋণের মাত্রা নির্ধারণ।
২. বর্তমান ক্ষুদ্র ঋণ অর্থায়ন কার্যক্রমে ক্ষুদ্র ঋণের যোগানের বিভিন্ন তথ্য নির্ধারণ করা তন্মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এনজিও এর ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা, ঋণের পরিমাণ ঋণের বৈশিষ্ট্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং পোর্টফোলিও সম্প্রসারণে বাধা ইত্যাদি ।
৩. তফসিল বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এনজিও এর ক্ষুদ্র অর্থায়ন কার্যক্রম পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য বাধাসমূহ নির্ধারণ ।
৪. বিভিন্ন খাতভিত্তিক প্রয়োজনীয় যোগানের বিভাজন নির্ধারণ করতে হবে।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, দেশের উন্নয়নের পূর্বানুমান ক্ষুদ্র অর্থায়নের পক্ষে সম্ভব নয়। তথাপি, যথার্থ চাহিদা ও যোগানের বাস্তবায়ন দ্বারা এটি সামগ্রিক অর্থনীতি সচল রাখতে পারে ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।